Ram কি ? র‌্যাম কিভাবে কাজ করে এবং এর প্রকারভেদ?


Ram কি ?


Ram কি ?


Ram কথাটা আমরা প্রত্যেকেই শুনেছি সেটা হোক কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন। আসলে এই Ram জিনিসটা কি? কীভাবে এটি কাজ করে বিস্তারিত তথ্য আপনারা এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন।


ইন্টারনেটে অনেক ভিডিও বা কনটেন্ট আপনারা পেয়ে যাবেন যে কিভাবে র‌্যাম বাড়িয়ে নিতে হয়? কিভাবে ফোনের র‌্যাম  4gb থেকে 8 জিবি বাড়িয়ে নেবেন। 2gb থেকে 4 জিবি করে নিবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে তারা জানেই না যে এগুলো আদৌ সম্ভব না। 



Ram অর্থ কি?


Ram হচ্ছে ফোনের এমন একটি অংশ যাকে বলা হয় 

Random Access memory সংক্ষেপে Ram। 



র‌্যাম কিভাবে কাজ করে? 


ধরুন আপনি ফোনের অনেকগুলো অ্যাপস বা অ্যাপ্লিকেশনগুলো ইন্সটল করেছেন।ইন্সটল করার পর যখন আপনি ঐ অ্যাপ্লিকেশন টাকে রান করবেন তখন সেটা আপনার ফোনের স্টোরেজ থেকে র‌্যাম মধ্যে চলে আসে। তারপর র‌্যাম সেটা কে একসেস করে নেয়।


এই রেম এমন একটা জিনিস যেটা খুব দ্রুত কাজ করে। আপনি যখন এই অ্যাপ্লিকেশন টা কে ক্লিক করলে এপ্লিকেশনটা সবকিছু কিন্তু সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।


র্যাম এর মধ্যে অনেক রকম ভাগ রয়েছে। যেমন 4gb রম 6gb রেম 2gb র্যাম। 8gb র্যাম।


এই ভাগগুলো যে রয়েছে এরমধ্যে ব্যাপার হচ্ছে যদি আপনার ফোর জিবি র‌্যাম হয় এক্ষেত্রে ব্যবহার করার অনুভূতিটা  র‌্যাম যত বাড়তে থাকবে তত ফোন ব্যবহার স্মুথলি হবে।


দেখ গেল আপনার ফোনটি 4 জিবি র‌্যাম। এখানে আপনি অনেকগুলো এপ্লিকেশন ব্যবহার ব্যবহার করছেন। এবার যেমন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছেন সেরকম কিন্তু আপনার ফোনে কনজিউন  করবে।


মনে করুন আপনি ফেসবুক ব্যবহার করতেছেন। এবার যখন আপনি ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশনটি রান করতে যাবেন সে ক্ষেত্রে লেখাগুলো আপনার 300mb ram কনজিউম করছে।


তারপর আপনি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলেন সেখানে দেখা গেল 200mb রেম কনজিউম করেছে।


এরকম করে করে যখন আপনি অনেকগুলো এপ্লিকেশন ব্যবহার করবেন তখন দেখা গেল যে আপনার দুই জিবির উপরে হয়ে গেল। এবার কিছু জিবি Ram কনজিউম করল এবং কিছুটা ফাঁকা রয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ফোনটা স্মুথ কাজ করবে।




আবার অনেকের দেখবেন ৬ জিবি র‌্যাম থাকে। আপনি কত জিবি রেম ব্যবহার করবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনি দেখা গেল হেভি গেম খেলতে ভালোবাসেন। ধরুন এখন আপনি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় গেম পাবজি  খেলতেছেন। সে ক্ষেত্রে এই গেমটা কিন্তু 1 জিবির উপর রেম কনজিউম কম করে।


এখন যদি আপনার ফোনের রেম ফোর জিবি হয়। সে ক্ষেত্রে অন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালিয়ে তারপরে যদি আপনি আবার পাবজি গেম খেলেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ফোনটা হ্যাং করা শুরু করে দিতে পারে।


আর যদি আপনার ফোনটি ৬জিবি রেম এর হয় তাহলে দেখা গেল ওয়ান জিবি র্যাম গেম খেলতে চলে গেল বাকি ছোটখাটো অ্যাপ্লিকেশনগুলো দুই থেকে তিনশ ram কনজিউম করল।


তো এই হচ্ছে রেম এর আসল ব্যাপার। অনেকের মধ্যেই ধারণা আছে যে যত বেশি হবে তত ভালো হবে। এক্ষেত্রে একটা কথা বলতে চাই র‌্যাম কারো যদি ফোর জিবি থাকে আবার কারো যদি এইট জিবি থাকে তাহলে আপনি এটা ভাববেন না যে আপনার ফোন অনেক ভালো।


যার কাছে ফোর জিবি আছে তার পারফরমেন্সের যতটা ৬জিবি রেম ঠিক ততটাই দিবে। কিন্তু 4gb ক্ষেত্রে আপনি বেশি অ্যাপ্লিকেশন একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন না। যেটা 6 জিবি ব্যবহার করতে পারবেন। র‌্যাম হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটা মাল্টিটাস্কিং করতে ব্যবহার করা হয়।


যদি আপনার রান বেশি থাকে তাহলে আপনি বেশি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন আর যদি কম থাকে সে ক্ষেত্রে কম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এটা পুরোটাই নির্ভর করে আপনি কেমন কি ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতেছেন।




ফোনের র্যাম কিভাবে বাড়ানো যায়


অনেকেই বলে থাকে যে ফোনের র‌্যাম বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এক দিক দিয়ে দেখতে গেলে কিন্তু ফোনের Ram বাড়ানো যায় না। ফোনের যে আপনার মেমোরি রয়েছে সেটাকে চাইলে আপনি বাড়িয়ে নিতে পারেন।


যেমন ধরুন আপনি একটি মেমোরি কার্ড লাগিয়ে দিলেন 64gb হোক বা 128 জিবি সে ক্ষেত্রে আপনার মেমোরি স্টোরেজটা বেরে গেল। কিন্তু রেম কোন কিছুতেই বাড়াতে পারবেন না। র‌্যাম হচ্ছে একটা  সুক্ষ্ম জিনিস। এটা অনেকটা কস্টলি যেটা আপনি চাইলে বাড়াতে পারবেন না।


কিন্তু কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বাড়াতে পারবেন। এখানে অনেক এক্সটার্নাল কিছু ব্যাপার-স্যাপার থাকে সেগুলোর মাধ্যমে রেম বাড়িয়ে নিতে পারবেন।


আশা করি পুরো ব্যাপারটা আপনারা বুঝতে পেরেছেন। পোস্টটা কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই জানাবেন আপনারা কে কত জিবি রেমের ফোনে  ব্যবহার করেন। 

0/Post a Comment/Comments