অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবে (বিস্তারিত)


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল




অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?


টাকা ইনকাম করার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। চাকরি, ব্যবসা আরও কত কিছুই না করি। চাকরি,ব্যবসার মত ঐরকম ই একটা রোজগার ব্যাবস্থাপনা হলো অনলাইন ইনকাম (online income)। চলমান সময়ে খুবই আলচ্য একটা বিষয় ফ্রিল্যাসিং এবং আউটসোর্সিং (Freelancing and Outsourcing)। এদের মধ্যে "অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি" অন্যতম! প্রায় সকল তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষের কাছে এই শব্দ দুটি হয়েছে খুবই জনপ্রিয় অনেকে হয়তো ভাবেন ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং মানেই   হয়তো কাড়িকাড়ি টাকা। 


কিন্তু ব্যাপারটা ভাবতে  খুব সহজ মনে হলেও সফল হওয়ার জন্য প্রচুর ধৈর্য ও নিজের যোগ্যতার প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং নিয়মিত কাজের অগ্রগতি বিষয়ক আপডেট না থাকলে এই সম্ভবনাময় সাইটটি হয়ে যায় প্রচুর বিরক্তিকর ও কষ্টকর।


প্রতিনিয়ত  প্রচুর পড়াশুনা এবং সেগুলো নিয়ে গবেষণা  ও অভীজ্ঞদের সংস্পর্শে থাকলে খুব সহজেই সফলতা পাওয়া সম্ভব।অন্যথায় আপনি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর দুনিয়ায় বেশিদিন টিকতে পারবেন না। কারণ এটি শুধু বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারা বিশ্বের মানুষ এখানে কাজ করে তাই আপনাকে সারা বিশ্বের মানুষের সাথে টেক্কা দিয়ে চলতে হবে। চলমান সময়ে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোসিং (Freelancing and Outsourcing in bangladesh) এ অনেক এগিয়ে গেছে। দিন দিন অগ্রগতি বেড়েই চলেছে। অনেকেই বিরক্তহয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই সফল হয়ে টিকে আছেন।



আজকের আমার  এই "অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?" এবং "কিভাবে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়?" আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ইনকাম শুরু করে দিবেন এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি না। তবে যে বিষয়গুলো আপনাদের সামনে আলোচনা করব  সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে একটি ষ্পষ্ট ধারনা পাবেন যা আপনাকে পরবর্তীতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে যে আপনি আসলে কি করতে চাচ্ছেন বা কোন বিষয় নিয়ে কাজ করলে আপনি সহজেই এগিয়ে যেতে পারবেন।


আধুনিক সময়ে অফলাইন মার্কেটিং এর থেকে অনলাইন মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।  তাই অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সাধারণত চুক্তিভিত্তিক ভাবে কোনো কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করাকেই সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।


আপনাকে যদি আমি  একটা উদাহরণ এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিন তাহলে আপনি আরও ভাল ভাবে বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুণ, আপনি বা আপনার কোন আত্মীয়র শরীরের কোনো সমস্যায় আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। সাধারণত সেখানে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য আপনাকে একটা প্রেসক্রিপশন দিবে।


তবে খেয়াল করলে দেখবেন ডাক্তার এসব পরীক্ষা করানোর জন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতালের নাম বলবে আপনাকে। আপনি যদি ডাক্তারের কথা মত ঐ ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতাল থেকে আপনার পরীক্ষা করান তাহলে ডাক্তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকে। সাধারণত ডাক্তার রোগী পাঠানোর মাধ্যমে যে টাকা আয় করলেন এই বিষয়টিকে সহজ ভাষায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।


এবার মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যদি বলতে যায় তাহলে একটা উদাহরণ দিব। যেমন – যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মার্কেটার হিসেবে নিয়োগ কৃত হয়ে থাকেন,তাহলে আপনি কমিশন পাবেন ঠিক তখন, যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটর পাঠাবেন তাদের সাইটে পণ্য কেনার জন্য এবং ক্রেতা সেই পণ্যটি কিনবে, তখন এটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হবে। আশাকরি ক্লিয়ার করতে পেরেছি আপনাদের।


অবশ্যই পড়বেন:

= অনলাইনে আর্নিং-এর সেরা তিনটি সাইট



অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করে(How affiliate marketing works)


সাধারণত যখন আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের কোন পণ্য নির্বাচন করবেন বিক্রির জন্য, বিক্রেতা আপনাকে একটি ইউনিক অ্যাফিলিয়েট কোড দিবে, যেটি কিনা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন আপনার ট্রাফিক এবং টার্গেট ওয়েবসাইট টির ক্ষেত্রে।


বেশির ভাগ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাধারণত আপনাকে দিবে তৈরিকৃত ট্যাক্সট লিংক, ব্যানার এবং ফর্মসমূহ, যেখানে আপনাকে আপনার নিজস্ব কোডটি বসাতে হবে এবং আপনার নিজের ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিতে হবে অর্থাৎ যার মাধ্যমে আপনি ট্রাফিক করবেন।


তারপর সাধারণত দেখা যায়, আগ্রহী ক্রেতারা আপনার সাইটে দেওয়া লিংক এ যখন ক্লিক করে তখন স্বয়ংকৃত ভাবে তারা পণ্যের সাইটে চলে যায় এবং তারা যদি সেই পণ্য কেনে অথবা তাদের ওয়েবসাইট অর্থাৎ পণ্যের সাইটে ভিজিট করে, যেটার আপনি অ্যাফিলিয়েট করেছেন, তাহলে আপনি চুক্তি অনুযায়ী কমিশন পাবেন।


আরো পড়ুন


কেন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?(Why do you do affiliate marketing?) 



  • কোন খরচ নেই

  • নির্দিষ্ট কোন সীমাবদ্ধতা নেই

  • কোন ইনভেস্টমেন্ট বা টাকা খরচ করতে হয় না

  • নিজের কোন প্রতিষ্ঠান স্টোরেজের দরকার নেই

  • কোনো কাস্টমার সাপোর্ট দরকার হয়না

  • হিউজ পরিমাণ আনলিমিটেড ইনকামের সুযোগ 



উপরে যে কয়েকটি পয়েন্ট আপনারা পড়লেন এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সুবিধা রয়েছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর। তাছাড়া অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বে 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে সবচেয়ে গতিশীল, ক্রমবদ্ধমান এবং সর্ব উত্তম অনলাইন মার্কেটিং টেকনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। 


উপরের পয়েন্টগুলো আপনাকে যদি আমি একটু ক্লিয়ার করে বলি তাহলে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হবেন। আসুন তাহলে একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলি, যা আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?কিভাবে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়?,


কোন খরচ নেই: সাধারণত অনলাইন মার্কেটিং অনেক কম খরচের কেননা এতে মার্কেটারের কোন উৎপাদন খরচ বা মান নিয়ন্ত্রন খরচ নেই। সাধারণত এর সব কিছু বিক্রেতা করে থাকেন। তবে মজার একটা কথা হল মার্কেটার এর কোন প্রকার ব্যাবসায়িক স্থান এর প্রয়োজন হয় না এবং কোন কর্মচারী নিয়োগ দিতে হয় না।


নির্দিষ্ট কোন সীমাবদ্ধতা নেই: আপনি সাধারন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় মার্কেটিং করতে পারবেন। কিন্তু আপনি অনলাইন মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে মার্কেটিং করতে পারবেন।


কোন ইনভেস্টমেন্ট বা খরচ নেই: সাধারণত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে আপনাকে কোন প্রকার টাকা প্রদান করতে হবে না বা হয় না।


নিজের কোন প্রতিষ্ঠান বা স্টোরেজের দরকার নেই: এটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সব থেকে মজার বিষয়। কেননা আপনি এখানে মার্কেটিং করছেন কিন্ত আপনার কোন দোকান বা মার্কেটিং প্লেস নেই। আপনি চিন্তা মুক্ত থাকবেন পন্যটির ব্যাপারে,কারন পণ্যটি গুদামজাত করা,প্যাকেটজাত করা নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবেনা । এর সব কিছু বিক্রেতা করে থাকেন।


কোন কাস্টমার সাপোর্ট এর প্রয়োজন হয় না: আপনি অফলাইন এ কোন প্রোডাক্ট সেল করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কাস্টমার সাপোর্ট দাওয়া লাগে। কিন্ত অনলাইন এ সাপোর্ট দাওয়া লাগবে না এবং কোন চুক্তিতেও আপনাকে অংশ নিতে হয় না । এটা গ্রাহকের সকল অভিযোগ এর সাপোর্ট বিক্রেতা দিয়ে থাকে আপনার পক্ষ হয়ে।


ইউজ এন্ড আনলিমিটেড ইনকামঃ সাধাররত একটি স্বাভাবিক চাকুরিতে আপনি যতখন কাজ করবেন আপনি ততখন এর থেকে একটি আয় পাবেন। এটা আপনার মার্কেটিং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনাকে ক্রমাগত আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে এবং এটা কখনও থামবে না। ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। তার জন্য আপনাকে সব সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে এমনটি নয়।



এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে সকল বিষয়   জানা খুবই প্রয়োজন।


  •  অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকা

  • অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে একাউন্ট এবং লিংক তৈরি

  • সঠিক বিষয়বস্তু নির্ধারণ

  • ওয়েবসাইট তৈরি

  • চমৎকার কনটেন্ট তৈরি

  • কনটেন্ট প্রমোশন


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়ার জন্য এবং টিকে থাকার জন্য  আপনাকে এই বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে। চলুন বিষয়গুলো আপনাকে সহজভাবে বুঝায়ে দেই


অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকা


আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন অথচ আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না তাহলে কিভাবে সফল হবেন আপনি? তাই আপনাকে অবশ্যই আফিলিয়েট প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতে হবে। 

সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার জ্ঞান থাকতে হবে।


এখানেই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ইউ বলতে বোঝাচ্ছি আপনি কোন অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর আওতাধীন কাজ করে আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করবেন তার সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান আপনার থাকতে হবে।  


এখানে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামিং বলতে বোঝাচ্ছে আপনি কোন অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর আওতাধীন আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।


এক্ষেত্রে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক ধরনের এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক পাবেন। যেগুলোতে আপনি কাজ করতে পারবেন। কিন্তু কাজ শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে।যেমন ধরুন প্রথম অবস্থাতেই আপনি কোন নেটওয়ার্কে খুব সহজেই আপনার কাজ করার অনুমতি পেতে পারেন।


কোন ধরনের পণ্যের বিবরণ আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন,কী ধরনের পণ্যের বিক্রি বেশি, কী ধরনের পণ্যের কমিশন বেশি, বাংলাদেশ থেকে সেই নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য অ্যাকাউন্ট করা যায় কি না, বাংলাদেশ থেকে পেমেন্ট তোলা যায় কি না, সর্বনিম্ন পেমেন্টের পরিমাণ কত, কত দিন পরপর পেমেন্ট তোলা যায় ইত্যাদি মাধ্যমগুলো আপনাকে আগে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে।


অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে একাউন্ট খোলা এবং লিংক তৈরি


কোন অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর আওতাধীন কাজ করতে গেলে আপনাকে সেখানে অবশ্যই  একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার জন্য সেখানে কিছু অনুমতির প্রয়োজন হয়। তাদের অনুমতি সাপেক্ষে ছিলেন আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। অনেক নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ থেকে একাউন্ট খোলা যায় না।


সে ক্ষেত্রে আপনি বিদেশি কোনো বন্ধু, আত্মীয় বা পরিচিত কারো সাহায্য নিয়ে একাউন্ট খুলতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে  আপনি নতুন অবস্থায় সব নেটওয়ার্কে অনুমতি নাও পেতে পারেন।


যখন আপনি কোন নেটওয়ার্কে একাউন্ট খুলবেন তখন তাদের শর্তগুলো আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে। বিভিন্ন নেটওয়ার্কে বিভিন্ন রকম শর্ত থাকতে পারে। অ্যাকাউন্ট খোলার আগে তাই আপনি এগুলো অবশ্যই জেনে নিবেন।


একাউন্ট খোলার পর একেকরকম পণ্যের জন্য একেক রকম লিংক তৈরী হবে। সেই লিঙ্ক আপনাকে কালেক্ট করে আপনার আর্টিকেল বা কনটেন্ট যুক্ত করতে হবে।আপনার প্রমোট করা সেই লিঙ্কে গিয়ে যদি কোনো ক্রেতা আপনারা সেই পণ্যটি কিনি তাহলে আপনি কমিশন পাবে। 


আবার আপনার প্রমোট করার লিংকের মাধ্যমে কোনো ক্রেতা যদি আপনার পণ্যটি না কিনে অন্য কোন পণ্য কিনে তাহলেও কিন্তু আপনি কমিশন পাবেন। এখন আপনি ভাবতে আপনার রেফারেল লিংক থেকে কতজন ভিজিটর গিয়েছি কতটি  পণ্য বিক্রি হয়েছে বা আপনার কমিশন কত হয়েছে এগুলো কিভাবে দেখব। চিন্তা নাই আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে তৈরি করা অ্যাকাউন্ট থেকে দেখতে পাবেন  আপনার লিঙ্ক ক্লিক করে কতজন ভিজিটর গিয়েছেন, কত বিক্রি হয়েছে, কত কমিশন জমা হয়েছে ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য।



সঠিক বিষয়বস্তু নির্বাচন(Select the correct content)


এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।প্রথমে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান। তারপর আপনাকে আপনার পছন্দমত পণ্য বাছাই করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পণ্য নির্বাচনের আগে আপনাকে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ।


যেমন আপনি যে ধরনের পণ্য মার্কেটিং করতে চান, ক্রেতাদের সেই ধরনের পণ্য কিনতে কতটা আগ্রহী  অথবা সেই পণ্যের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে কি না। এমন পণ্য নির্বাচন করা কখনোই উচিত নয় যে ধরনের পণ্য  ক্রেতা কিনতে আগ্রহী হবেন না।  বরং আপনি সে ধরনের পণ্যই নির্বাচন করবেন যেগুলো আপনার ক্রেতা খুব সহজেই কিনতে আগ্রহ করবে।


ওয়েবসাইট তৈরি(Website created)


আপনি এতক্ষণ পর্যন্ত জানলেন অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কিং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামিং কিভাবে এফিলিয়েট নেটওয়ার্কে একাউন্ট খুলবেন এবং কি ধরনের বিষয়বস্তু নির্বাচন করবেন।


এখন কথা হচ্ছে এই তথ্যগুলো আপনি কোথায় প্রয়োগ করবেন। প্রয়োগ করার জন্য একটি মাধ্যমের দরকার। সেই মাধ্যমটি হচ্ছে ওয়েবসাইট। তাছাড়া আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন। কিন্তু একটি ওয়েবসাইট থাকলে ভালো হয়।ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে মার্কেটিং করবেন সেটা আপনাদেরকে আমি পরে বলব। আজকে আমরা ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব।


যেহেতু মার্কেটিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন তাই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট আগে তৈরি করতে হবে।


ওয়েবসাইট তৈরির জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে blogger এবং WordPress। আপনি ব্লগার এবং ওয়াডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট খুব সহজেই খুলে নিতে পারেন।


ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট খুলতে গেলে আপনাকে কিছু খরচ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।আর ব্লগার দিয়ে আপনি ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন।


আপনাকে আমি সাজেস্ট করব আপনার যদি টাকা খরচ করার সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেসে খুলবেন। আর যদি ফ্রি খুলতে চান তাহলে ব্লগার অনেক ভালো হবে কিন্তু সে ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।তবে নতুন দের ব্লগা-ই ভালো হবে।


চমৎকার কনটেন্ট তৈরি(Excellent content created)


ওয়েবসাইট তো হল। এখন আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে হবে। অর্থাৎ সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখতে হবে আপন পন্য উপর।ক্রেতাদের আস্থা পেতে আপনাকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন এবং ধারাবাহিক কনটেন্ট লিখতে হবে।


কনটেন্ট এর  ভালো মানের ছবি দিতে করতে হবে। আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক টি কনটেন্ট এর  ছবি এবং টেক্সটে যুক্ত করে দিতে হবে।


 কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে  পন্যের রিভিউ করার সময় আপনাকে অবশ্যই শততার সাথে করতে হবে। প্রতিটি পন্যের বলো এবং খারাপ উভয় দিক আলোচনা করতে হবে।




কনটেন্ট প্রমোশন(Content promotion)


আপনি আপনার মনের মত খুব সুন্দর পরিচ্ছন্ন কনটেন্ট লিখে ফেলেছেন।এখন আপনার কনটেন্ট পড়তে যাত বেশি ভিজিটর আসবে ততবেশি  কিন্তু আপনার পন্য টি  বিক্রি হবে।


কিন্তু এখানেই হচ্ছে আসল সমস্যা।আপনি তখন নতুন ওয়েব সাইট খুলবেন সেখানে নতুন নতুন কনটেন্ট লিখবেন তখন কিন্তু আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট পড়তে ভিজিটর সহজে আসবেনা।আর ভিজিটর না আসলে আপনার পন্যও বিক্রি হবে না।তাই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আনতে হবে।


ভিজিটর আনার জন্য আপনি আপনার কনটেন্ট গুলো  ফেসবুক ইউটিউব সহ বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করবেন।সেখান থেকে আপনি অনেক ভিজিটর পেয়ে যাবেন। এভাবে আপনার ওয়েবসাইটে যখন রেংক করবে তখন গুগল থেকে আপনি ভিজিটর পেতে শুরু করবেন।


Also read



বন্ধুরা আপনারা  যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়? এই আর্টিকেলটির উপরের টিপস গুলো step by step  মেনে চলে কাজ শুরু করেন এবং  ধৈর্য্য সহকারে  এর পিছনে লেগে থাকেন তাহলে ইনশাআল্লাহ  সফল হবেন। আপনাদের যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্স এ অবশ্যই জানাবেন। আর্টিকেল টি ধৈর্য্য সহকারে পড়ার জন্য  ধন্যবাদ।




0/Post a Comment/Comments