অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি? ২০২৪ সালে সেরা ৭ টি স্কিল


অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি?



অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

আজকে আমরা অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং অনলাইনে বিভিন্ন জনপ্রিয় কিছু জব সম্পর্কে জানব। যেগুলো চাইলেই আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন ঘরে বসেই শিখতে পারবেন।


আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোন না কোন কিছু করতে হয় বা কোন না কোন কিছু করতে চাই। কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়, কেউ কেউ আবার জব বা চাকরি করতে চায়। যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা করবে।



কিন্তু শুরুর দিকে আমরা বুঝতে পারি না কোন কাজ বা কোন জব গুলো আমাদের জন্য ভালো হবে অনলাইনে। কোন জব বা বিজনেস করতে গেলে কি কি অপরচুনিটি আমাদের জন্য আসে সেগুলো আমরা বুঝতে পারি না। এগুলো সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই কনফিউজ হয়ে থাকে।



আজকে যে বা যারা একটি বা একাধিক বিষয়ে এক্সপার্ট তারাও কোন একটা সময় কিন্তু জিরোতে ছিল অর্থাৎ কিছুই জানত না। পরবর্তীতে কাজ করতে করতে তারা এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছে।



আপনারা যারা কিছুটা কনফিউজড বুঝতে পারতেছেন না কি ধরনের কাজ করা যেতে পারে, কি কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই পোস্টটি আজকে মূলত তাদের জন্যই।




আজকের পোস্টের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং অনলাইন কোন জব গুলো বেশি জনপ্রিয় সেই কাজগুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দেওয়া।



পোস্টটি পড়লেই যে আপনি কালকে থেকে অনলাইনে কাজ শুরু করে দিবেন ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। আজকের পোস্ট টা থেকে আপনি আইডিয়া নিতে পারবেন যে অনলাইনে কি কি কাজ করা যায় কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি, কোন গুলোতে বেতন কেমন এসকল আইডিয়া নিতে পারবেন।



এবং এগুলোর মধ্যে যেটা আপনার ভালো লাগে সেটা করতে পারেন অথবা এটা থেকে আইডিয়া নিয়ে আরো একটু রিসার্চ করে যেটা ভালো লাগে সেটা আপনি করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই অনলাইনে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোনগুলো ডিমান্ডিং বর্তমান সময়ে...




টি-শার্ট ডিজাইন



১.টি-শার্ট ডিজাইন


প্রথমেই যে কাজটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে টি-শার্ট ডিজাইন। আমরা কমবেশি সবাই  টি-শার্ট পরি। আমরা যত টি-শার্ট ডিজাইন দেখতে পাই এগুলোর ডিজাইন কেউ না কেউ নিশ্চয়ই করতেছে। মূলত তারাই হচ্ছে টি-শার্ট ডিজাইনার যারা টি-শার্টগুলো ডিজাইন করে থাকে।


আপনিও একজন টি-শার্ট ডিজাইনার হিসেবে এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন। আপনার কি কখনো মনে হয় মানুষ টি-শার্ট কেন বন্ধ করে দিবে? এটা কখনোই বন্ধ করবে না। এটা একটা এভারগ্রীন মার্কেট।


আমরা জানি অ্যামাজন  বিশাল বড় একটি মার্কেটপ্লেস।প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কাস্টমার আমাজন ভিজিট করে থাকে। এবং সেখান থেকে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করে থাকে।



শুধুমাত্র এই টি-শার্টের জন্য আমাজন তাদের একটি প্রোগ্রাম লঞ্চ করেছে। নাম হচ্ছে  Merch by Amazon। এই প্রোগ্রামের আওতায় একজন টি-শার্ট ডিজাইন  Merchant একাউন্ট ক্রিয়েট করে সেই একাউন্টে তার ডিজাইন করা টি-শার্টগুলো সাবমিট করতে পারবে।



ডিজাইন করা টি-শার্ট বলতে শুধু ডিজাইন টা সাবমিট করবে। কোনো কাস্টমার যখন অ্যামাজন থেকে সেই টি-শার্ট অর্ডার করবে তখন আমাজন সেই টি-শার্টটি তৈরি করবে, তারপর তাদের গোডাউনে সেটাকেই স্টক করবে এবং কাস্টমারকে সেটা ডেলিভারি করে দিবে।



অর্থাৎ সব কাজ অ্যামাজনেই করবে। আপনার কাজ হচ্ছে শুধু ভালো ভালো ডিজাইন করা এবং একাউন্টে সাবমিট করা। অ্যামাজন ছাড়াও অন্যান্য যে মার্কেটপ্লেসগুলোর রয়েছে ফাইবার, আপওয়ার্ক এগুলোতে টি-শার্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করা যেতে পারে।


অনেকেই টি-শার্ট ডিজাইনের হায়ার করে থাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য টি-শার্ট ডিজাইন করে নিতে। সো আপনি চাইলে সুন্দর একটি টি-শার্ট ডিজাইন ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।




২.লোগো ডিজাইন 


আমরা আশেপাশে যত প্রতিষ্ঠান দেখে থাকি সবাই কিন্তু লোগো রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইউটিউবে এখন হাজার হাজার ইউটিউব চ্যানেল ফেইসবুক পেইজ ফেসবুক গ্রুপ ওয়েবসাইট সকলেই ইউনিক একটি নিজেস্ব লোগো রয়েছে।



এছাড়া বিভিন্ন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন ই-কমার্স অনলাইন নিউজ পোর্টাল এই প্রত্যেকটি প্রোজেক্টের জন্য কিন্তু একটি লোগো ডিজাইনে প্রয়োজন। মানুষ কিন্তু এই ধরনের উদ্যোগগুলো নেয়া কখনোই বন্ধ করবে না। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার কোম্পানি লঞ্চ হয়। এগুলোর সব গুলো হয়তো সাকসেস হয় না কিন্তু উদ্যোগটি শুরু করার জন্য কিন্তু অবশ্যই একটি লগো প্রয়োজন হয় আর এই লোগো ডিজাইন করে লগো ডিজাইনাররা।


পূর্বেও লগো ডিজাইনারদের ডিমান্ড ছিল এবং ভবিষ্যতেও লগো ডিজাইন এর ডিমান্ড অনেক বেশি থাকবে। আপনি যদি লোগো ডিজাইন এক্সপার্ট হয়ে যেতে পারেন তাহলে আশাকরি আপনাকে কোনদিন জবস ছাড়া থাকতে হবে না। অনলাইন অফলাইন দুই জায়গাতেই লোগো ডিজাইনার অনেক চাহিদা রয়েছে।


বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে লোগো ডিজাইন এর চাহিদা কিন্তু ব্যাপক। পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ খুলে অথবা নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট খুলে লোক্যালি কেউ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এই কাজগুলো করতে পারেন।





৩.ফটো এডিটিং


আপনারা যারা সহজ কাজ খুঁজছেন তাদের জন্য ফটো এডিটিং হতে পারে একটি ভাল অপশন। অন্যান্য কাজ গুলোর তুলনায় ফটো এডিটিং অনেকটা সহজ। তবে এটির অনেক হাই লেভেলের কাজ রয়েছে। বাট ব্যাসিক  কিছু কাজ শিখেও এই সেক্টরে কাজ করতে পারবেন।


আমাজন, আলীএক্সপ্রেস এই কোম্পানিগুলো সম্পর্কে আমরা হয়তো সকলেই জানি। এখানে হাজার হাজার সেলার রয়েছে। তারা তাদের পণ্যগুলোকে সেল করতেসে। এছাড়াও third-party বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে, ফেসবুক পেইজ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সেলার বিভিন্ন ধরনের পণ্য অফার করে থাকে।



এই পণ্যগুলোর ছবি তুলে কিন্তু আপলোড করে দেওয়া হয় না। সেগুলো আগে ভালোভাবে এডিটিং করে সুন্দর একটা প্রেজেন্টেশন দিয়ে তারপর আপলোড দেওয়া হয়। যেন কাস্টমাররা পণ্যটি কেনার আগে সেটিকে ভালোভাবে দেখে নিতে পারে।



আর এখানেই ফটো এডিটর এর চাহিদা রয়েছে। সেই সেলাররা তখন ফটো এডিটর কে হায়ার করে থাকে। তাদের পণ্য গুলোর ছবিগুলো কে এডিট করার জন্য। তাই আপনি প্রোডাক্ট এর ছবি এডিটিং করার মাধ্যমে একজন ফটো এডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।



বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে মাধ্যমে জব করতে পারেন অথবা আপনার একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে অনলাইনে লোকাল যারা পণ্যও সেল করতেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যোগাযোগ করে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। এভাবে আপনি অনলাইনে ফটো এডিটর  হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।





৩.ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার।


ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভলপিং যদি আপনি ভালভাবে শিখতে পারেন তাহলে এই রিলেটেড প্রচুর জব  আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। তাদের পণ্যগুলোকে তাদের কোম্পানির যে সকল ইনফরমেশন রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়।


আর অনলাইনে যত ওয়েবসাইট তৈরি করার যত টুলস বা সফটওয়্যার রয়েছে তাদের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস সবচেয়ে জনপ্রিয়। আরো অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার রয়েছে ওয়েবসাইট রয়েছে তৈরি করার কিন্তু সেগুলো থেকে ওয়ার্ডপ্রেস এর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি।যার জন্য এটার ব্যবহার করিও বেশি।



তাছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করলে খরচ অনেকটা কম হয়।  ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট করাও খুব সহজ। এই জন্য ওয়ার্ডপ্রেস রিলেটেড অনেক কাজ মার্কেটপ্লেসগুলোতে পাওয়া যায়। তাই ওয়ার্ডপ্রেসের কাজটি ভালোভাবে শিখতে পারলে একজন ভাল মানের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হয়ে উঠলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে কাজ করে ভালো পরিমাণ আর্নিং করতে পারবেন।



এটা যেহেতু একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল সার্ভিস  বা কাজ তাই এটার কাজ সম্পূর্ণ করে ডেলিভারি দেওয়ার জন্য কোথাও আপনাকে যেতে হবে না। আপনি নিজের ঘরে বসে নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজটি করে বায়ারকে ডেলিভারি করে দিতে পারবেন।



আরো পড়ুন


৪.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)


একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের রেংকিং করানোর জন্য তারা এসইও করতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওয়েবসাইট মালিকদের কাছে এত সময় থাকেনা যে তারা তাদের ওয়েবসাইটের এসইও করবে। এজন্য তারা এসইও এক্সপার্ট দের হায়ার করে থাকে। এসইও ট্রাইব্যুনালের তথ্য মতে প্রতিদিন মানুষ গুগোলে 5.6 বিলিয়ন টাইপস সার্চ করে থাকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য বা বিভিন্ন বিষয় খুঁজে বের করার জন্য।



তাই একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের রেংকিং করাতে পারলে অনেক অর্গানিক ভিজিটর  পাওয়া যায়। তাই অনলাইনে এসইও এক্সপার্টদের প্রচুর  পরিমাণে ডিমান্ড বা চাহিদা  রয়েছে।



একজনের এসইও এক্সপার্ট কে কয়েকটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হয়।


  • কনটেন্ট রাইটিং 
  • কন্টাক্ট মার্কেটিং  
  • অনপেজ এসইও 
  • অফ পেজ এসইও
  • লিংক বিল্ডিং 


এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে একটা বেসিক ধারণা থাকতে হবে। প্রফেশনাল ডেভলপার হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটা ওয়েবসাইট কিভাবে সেটআপ করতে হয় তার বেসিক নলেজ থাকতে হবে। কিভাবে পেজ গুলো কাজ করে ডাটা স্ট্রাকচার কিভাবে কাজ করে সেগুলো জানতে হয়। বিশেষ করে ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যাপারটি খুব ভালোভাবে জানতে হবে।


Also read


৫.প্রুফ রিডিং


আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা অন্যের ভুল খুব সহজেই ধরতে পারে। যেমন উচ্চারণ ঠিক মত করতে পারতেছে না বা কোন কনটেন্ট লিখছে  সেখানে অনেক গ্রামাটিক্যাল ভুল।


এই ভুল ধরতে পারাও কিন্তু একটি স্কিল। যেটাকে আপনি সার্ভিস হিসেবে অনলাইনে অফার করতে পারেন। অনেকেই রয়েছে যারা তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। প্রফেশনাল বা পার্সোনাল যেকোনো কাজের জন্যই তাদের বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখতে হয়।



কিন্তু তাদের অন্যান্য কাজ থাকার কারণে তারা সেগুলো ভালোভাবে রিভিউ করতে পারে না। এবং কোন ভুল ত্রুটি আছে কিনা তারা সেগুলো চেক করার সময় পায়না। তাই তারা প্রুফ রিডার এদেরকে হায়ার করে থাকে যারা যারা এই ভুলগুলো কে ধরতে পারে।



প্রুফ রিডার এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন আর্টিকেল বা কনটেন্ট এর মধ্যে কোন গ্রামাটিক্যাল ভুল আছে কিনা কোন স্পেলিং মিসটেক আছে কিনা এগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো ফিক্স করে দেওয়া।



তাই আপনি যদি ইংরেজিতে খুব ভালো হয়ে থাকেন এবং এ ধরনের ভুলগুলো সহজেই ধরতে পারেন তার মানে আপনার কাছে অলরেডি একটি স্কিল আছে।  আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটে সার্ভিস হিসেবে অফার করে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন। এবং অন্যের লেখা কন্টেন গুলোকে সুন্দরভাবে ফরম্যাট করে দিতে পারেন।




৬.মোশন গ্রাফিক্স


বিভিন্ন ভিডিওতে আপনারা এনিমেশন দেখতে পান। যেমন লোয়ার থার্স ট্রানজিশন এনিমেটেড টাইটেল, বিশেষ করে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা দেখলে আপনারা দেখতে পারবেন  সেখানে এনিমেটেড স্কোরবোর্ড বা বার থাকে যেখানে খেলার আপডেট দেখা যায়।


এই এনিমেটেড স্কোরবোর্ড বা বার গুলো যে আমরা দেখতে পাই এগুলো মূলত মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ডিজাইন করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এনিমেটেড ভিডিও তৈরি করে থাকে।


ইউটিউবে আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের ইন্ট্রো  ভিডিও দেখা যায়। এগুলো বেসিক্যালি মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজ। এবং এই কাজগুলো অনলাইনে অনেক ভালো ডিমান্ড রয়েছে।



কয়েকটি সফটওয়্যার এর কাছে জানতে হয় মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার জন্য। যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, প্রিমিয়াম প্রো,আফটার ইফেক্ট, পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে কিছুটা নলেজ এর প্রয়োজন হয় কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং এনিমেশন এই দুটি নিয়েই মূলত মোশন গ্রাফিক্স হয়ে থাকে।



৭. ওয়েবসাইট ফিলিপিন


ধরুন আপনি টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে চান তার পাশাপাশি আপনার হাতে কিছুটা সময় রয়েছে এখন আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে পারেন কিছু ফ্রি ডিজাইন সেই ওয়েব সাইটে সাবমিট করতে পারেন। কিছু রিসোর্স পাবলিশ করতে পারেন। বিভিন্ন কন্টেন্ট পাবলিশ করতে পারেন। এবং সেই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসা শুরু করলে সেই ওয়েবসাইট  ভেলু ক্রিয়েট হবে।



পরবর্তীতে আপনি  ওয়েবসাইট টা বিক্রি করে দিতে পারবেন ফ্লিপার নামে মার্কেটপ্লেস মাধ্যমে।


যদিও এই জবটি কে আমি প্রাইমারি জব হিসেবে নেওয়ার রিকমেন্ড করব না। বরং এটাকে সেকেন্ডারি জব হিসেবে নিবেন।


আপনি মূলত যে প্রফেশনে আছেন সেই প্রফেশন এর পাশাপাশি যদি এক্সট্রা কোন প্রজেক্ট ডেভলপ করতে চান তাহলে এটা করতে পারেন। এবং সেই প্রজেক্ট থেকে জেই রেভিনিউ আসতেছে সেটার থেকে 30 থেকে 40 গুণ বেশি দামি মার্কেটপ্লেসে আপনি বিক্রি করতে পারবেন।



ফ্লিপ্পা ওয়েবসাইটে যারা ভিজিট করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন সেখানে ওয়েবসাইট কি পরিমান দামের কেনাবেচা করা হয়। এই মার্কেটপ্লেসে ই-কমার্স, ওয়েবসাইট কনটেন্ট বেইজ ওয়েবসাইট বা এডসেন্স ওয়েবসাইটগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো বিক্রি হয়ে থাকে।


তাই আপনি বর্তমানে ভবিষ্যতের যে কাজগুলো করবেন সেটার পাশাপাশি আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে লেখালেখি বা ব্লগিং করতে পারেন।


ব্লগিং শুধু ব্লগারদের জন্য না। যে কেউ ব্লগিং করতে পারি। একটা ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লেখালেখি করতে পারেন সেগুলো অন্যদের জানাতে পারেন। অংশীদারি ভালোভাবে দাঁড় করাতে পারেন সেখান থেকে ভালো পরিমাণে রেভিনিউ করা যায়।


ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? কোন কাজটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করব?



এই ছিল বর্তমানে অনলাইনে যে কাজগুলো চাহিদা  বেশি দেখা যায় সেগুলো। আশাকরি কাজগুলো আপনার পছন্দ হবে। তাছাড়াও আপনি এখান থেকে আইডিয়া নিয়ে আরো রিসার্চ করে নতুন নতুন কাজের সন্ধান বের করতে পারেন। এবং যেগুলো আপনার পছন্দ হবে সেগুলো যে কোন একটা পরে স্কিল ডেভেলপ করে সেটি নিয়েই অনলাইনে কাজ শুরু করতে পারেন।


অথবা ইতিমধ্যেই আপনি বর্তমানে কোন প্রতিষ্ঠানে জব করেন,  অফলাইনেও হোক বা অনলাইনে, কোন সেক্টরে  জব করতেছেন কি ধরনের কাজ আপনি করেন  নিচের কমেন্ট সেকশনে সেগুলো অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন। যেন আপনার কাছ থেকেও আমরা কিছু শিখতে পারি। নতুন কোন আইডিয়া আমরাও পেতে পারি। আজকের পোস্টটি এ পর্যন্তই। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


0/Post a Comment/Comments