ইথিক্যাল হ্যাকিং কি ? ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে ?

ইথিক্যাল হ্যাকিং কি 

ইথিক্যাল হ্যাকিং কি ?ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে ?


প্রতিদিনের মতো মত আজকেও নতুন একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আর সেটা হচ্ছে ইথিক্যাল হ্যাকিং কি এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি  লাগে  আশা করি আজকের টপিকটা আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন। 


আজকের "ইথিক্যাল হ্যাকিং কি" পোস্ট  যদি আপনারা পরিপূর্ণভাবে  প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা জানতে পারবেন ইথিক্যাল হ্যাকিং কি? এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি  লাগে একজন প্রকৃত হ্যাকিং হওয়ার জন্য কোন কোন বিষয়গুলো জানতে হবে, এবং কোন বিষয়গুলোর প্রতি বেশি দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো জানতে পারবেন। 


তবে যাদের আমার  বলা কথাগুলো বকবক বলে মনে হয় তারা চলে যেতে পারেন। তাদেরকে অনুরোধ করছি এই পোস্টটি আজকে না পারার জন্য। আর যাদের আমার এই বকবক গুলোকে ভাল লাগে তারা পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন। আশা করি নিরাশ হবেন না উপকৃত হবে না।


ইথিক্যাল হ্যাকিং কি


হ্যাকিং  কিংবা ইথিক্যাল হ্যাকিং নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা জানার ইচ্ছা করে। ইথিক্যাল হ্যাকিং কি?  তাই না,  সত্যি তো জানারই কথা। কারণ সাধারণ  মানুষের থেকে একটু আলাদা কিছু জেনে নিজেকে সবার মাঝে অন্যরকম ভাবে উপস্থাপন করতে কেই বা না চায়।


তবে যদি আপনি ভেবে থাকেন দু-একটা ইউটিউব টিউটোরিয়াল অথবা কোনরকম রিকভার সিস্টেম জেনে নিয়ে আপনি হ্যাকিং শিখে গেছেন  বা আপনি হ্যাকার হয়ে গেছেন যদি এরকম কিছু মনে করেন তাহলে এই চিন্তাটা  এখনই ঝেড়ে ফেলুন।


আপনি যদি ভেবে থাকেন হ্যাকিং খুব খারাপ কাজ। তবে আপনার জানা দরকার, যে সব কারণে ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার অত্যন্ত জরুরী। আশাকরি ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ বিষয়বস্তু জানার পর আপনি আর ইথিক্যাল হ্যাকিংকে খারাপ চোখে দেখবেন না।


হ্যাকিং বিষয়টা নিয়ে যেহেতু আমাদের জানার অনেক ইচ্ছে তাই চলুন আজকের এই পোস্টের হ্যাকিং বিষয়টা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।



হ্যাকিং কি


সহজ ভাষায় যদি আমরা হ্যাকিংকে সংজ্ঞায়িত করি তাহলে বলতে হয় হ্যাকিং হচ্ছে এমন এক ধরনের বেআইনি প্রচেষ্টার যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় তথ্য, তার বা তাদের অনিচ্ছায় এবং অজ্ঞাতসারে হাছিল করা হয়।


আপনি হয়তো ভাবছেন বিষয়টা কতটা মজার হতে পারে। যদি আপনি সিস্টেমটা জানতেন তবে হয়তো আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করতে পারতেন। তাই তো?


কিন্তু আপনার হয়তো ধারনাই নেই এই বিষয়টা কতটা ভয়াবহ হতে পারে। হ্যাকিং যতটা কঠিন বিষয় ঠিক ততটাই মারাত্মক হতে পারে একজন মানুষ প্রতিষ্ঠান বা দেশের জন্য আপনি হয়তো জানতেই পারবেননা যে একজন হ্যাকার আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের সকল তথ্য আপনার গোপনেৎ কি করে নিয়ে যাচ্ছে।


সেখানে থাকতে পারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস, থাকতে পারে আপনার কোনো অন্তরঙ্গ ছবি আরো অনেক কিছুই! হয়তো আপনি অন্য কাউকে সহজে দেখাতে বা জানাতে ভয় পায় স্পর্শকাতর জিনিসগুলো একজন হ্যাকার খুব সহজে আপনার ডিভাইস থেকে চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।



হ্যাকার কাকে বলে


হ্যাকার হলো এমন ব্যক্তি যে 

এক্সেস পাওয়ার জন্য কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কগুলি দুর্বলতা খুঁজে বের করে এবং তাদের কাজে লাগায়। হ্যাকাররা সাধারণত কম্পিউটারের সুদক্ষ জ্ঞান সম্পন্ন একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার।


যাইহোক এতক্ষণ ধরে হ্যাকা এবং হ্যাকার সম্পর্কে যতটা পারি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর থেকে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন সাধারণ মেধা সম্পন্ন মানুষ কোন দিনই এই হ্যাকিং জগতে বিরাজ করতে পারবে না 



ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে


তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক  ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে বা একজন ভালো হ্যাকার হওয়ার জন্য কোন কোন বিষয়গুলোর উপর   পারদর্শী হতে হবে। একজন ইথিক্যাল হ্যাকারের হ্যাকিংয়ের জন্য কি কি বিষয়বস্তু জানতে হয়।


ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে হলে কি কি বিষয় জানতে হবে 



প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ: প্রথমত একজন হ্যাকারের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। একজন হ্যাকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকতে হবে।


যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একজন হ্যাকারের জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলতে পারেন সব থেকে বেশি জরুরি। কেননা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের সাহায্য ছাড়া কোন হ্যাকার প্রসেসরকে পড়ার ক্ষমতাই রাখে না।


ইন্টারনেট এবং সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জ্ঞান: একজন হ্যাকার কে ইন্টারনেট এবং সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হয়। অর্থাৎ তথ্য সংগ্রহের জন্য কিভাবে কার্যকরীভাবে সার্চ ইঞ্জিনগুলো কে ব্যবহার করা যায় তা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। একজন হ্যাকার কে অবশ্যই জানতে হবে যে সার্চ ইঞ্জিন কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে আর বিশ্বের সেরা সার্চ ইঞ্জিনগুলো কি কি।



লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম: তৃতীয়তঃ যে বিষয়টি লাগে সেটা হচ্ছে একটি লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম এবং লিনাক্স ব্যবহারকারী জানা উচিত এমন বেসিক কমান্ডগুলো প্রকৃত হ্যাকার কে অবশ্যই জানতে হবে।


নেটওয়ার্কিং এ দক্ষতা: কার্যকর হ্যাকার হওয়ার জন্য প্রোগ্রামিং দক্ষতা নেটওয়ার্কিং এ দক্ষতা স্ক্রল দক্ষতা অপরিহার্য। হ্যাকিং কখনো সহজ কাজ ছিল না আর সহজ কাজ হতেও পারে না। তবে এখনকার সময়ে প্রচুর কম্পিউটার এবং মোবাইল ফিক্সড হ্যাকার হতে চায় অনেকেই।


হ্যাকার নামে  হকার হওয়া হয়তো সহজ কিন্তু কঠিন হচ্ছে একজন ভাল মানের প্রকৃত ইথিক্যাল হ্যাকার হওয়া। এখন আমি আপনাদের সাথে ভালো এবং প্রকৃত হ্যাকারদের কিছু স্ক্রিল শেয়ার করব যা একজন প্রকৃত হ্যাকার এর মাঝে অবশ্যই থাকতে হবে।


কম্পিউটার দক্ষতা: কম্পিউটার দক্ষতা যে কতটা জরুরী হয়তো তা এতক্ষণে আপনারা টের পেয়ে গেছেন নিজেই। তাই আলাদা করে এই ব্যাপারে আর কিছু বলতেছি না। তবে একজন প্রকৃত হ্যাকারের প্রধান এবং প্রথম কাজ হচ্ছে সব সময় সফটওয়্যার মার্কেট এর সাথে কানেকশন রাখা।


অর্থাৎ হ্যাকিং কাজে সহায়তা করতে পারে এমন সকল সফটওয়্যার এর খবর রাখা।


ধৈর্য: একজন ভাল ভালো এবং প্রকৃত হ্যাকারের অনেক বড় একটি গুণ হচ্ছে ধৈর্য।


পর্যবেক্ষন: একজন ভাল হ্যাকার সবসময় একজন ভালো পর্যবেক্ষক হয়ে থাকে। সে তার টার্গেটকৃত বিষয়টি খুব নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করে। তার দুর্বল স্থান টিকে বের বের করার জন্য।


কেননা আপনি হয়তো অনেক সোশ্যাল মিডিয়াতে শুনেছেন 2 মিনিটে হ্যাক করে দেওয়া হ্যাকারের নাম কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখবেন দুই মিনিটের শুধু ম্যাগি নুডুলস তৈরি হতে পারে কোন প্রোফাইল বা কোন ওয়েবসাইট হ্যাক নয়।


কোন কোন প্রোফাইল বা ওয়েবসাইট হ্যাক করতে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন আবার কোন কোন ওয়েবসাইট হ্যাক করার জন্য একাধিক হ্যাকার মিলে কয়েক মাস অথবা কয়েকবছর যাবৎ পরিশ্রম করতে হয়। তই ধৈর্য হ্যাকারদের অন্যতম একটি বড় বৈশিষ্ট্য এবং গুন।



একজন ভাল একার যে এমন সব কিছু খেয়াল করে যা আপনার কাছে তুচ্ছ মনে হয়, আর যা আপনি কখনো ভেবে দেখেন নি কিন্তু প্রকৃত একজন হ্যাকার  তারা তাদের কাজের জন্য সবকিছু পর্যবেক্ষন করে।


লক্ষ্যবস্তুকে ছোট করে না দেখা: একজন ভালো এবং প্রকৃত মানের হ্যাকা কখনোই তার লক্ষ্যবস্তুকে ছোট করে দেখে না। যার ফলে সে তার সবটুকু মেধা খাটাতে পারে।


আশা করি আজকের এই পোস্টের পর হ্যাকিং সম্পর্কে আপনার একটা পাড়া প্রাথমিক ধারণা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হ্যাকিং শিখবেন কিভাবে। হ্যাকিং শিখার বিশ্ব বিখ্যাত তিনটি ফ্রি ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আপনি চাইলেই ফ্রিতে ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে পারবেন। 


ইথিক্যাল হ্যাকিং এর কথা এজন্য বলছি যে হ্যাকিং বিষয়টা শুধু যে খারাপ কাজে ব্যবহার হয় এমন ধারণা পোষণ করা মানুষ হয়তো আমাদের সমাজে অনেক বেশি।


তবে হ্যাকিং কে কাজে লাগিয়ে যেমন খারাপ কিছু করা সম্ভব তেমনি অনেক ভালো কিছু সম্ভব।


এই ছিল আজকে আমাদের 'ইথিক্যাল হ্যাকিং কি' 'ইথিক্যাল হ্যাকিং কিভাবে শিখবেন' 'ইথিকাল শিখতে কি কি লাগে' এই সম্পর্কিত পোস্টটি। আশা করি আপনারা ইথিক্যাল হ্যাকিং বা হ্যাকিং সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আজকের পোস্টটি কেমন হয়েছে সেটি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনাদের যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন কারণ সকলকেই হ্যাকিং সম্পর্কে সচেতন করা সকলের দায়িত্ব।ধন্যবাদ


0/Post a Comment/Comments