গুগল কিভাবে আয় করে ? জানুন বিস্তারিত!

 

গুগল কিভাবে আয় করে?


গুগল কিভাবে আয় করে
গুগল কিভাবে আয় করে


আপনারা কি কখনো ভেবেছেন গুগল কিভাবে আয় করে থাকে? 


গুগল আয়ের  কথা উঠলে অনেকেই বিজ্ঞাপনের কোথায় বলে থাকে। হ্যাঁ গুগলের মোটা আয় এর ৭০.৯০  শতাংশ আসে বিজ্ঞাপন থেকে। কিন্তু বিজ্ঞাপন ছাড়া আরও অনেক মাধ্যম রয়েছে যেখান থেকে গুগোল আয় করে থাকে।


2018 সালে গুগোল  আয়ের পরিমাণ ছিল 136 বিলিয়ন ডলার। তবে এখানে সব আয়  বিজ্ঞাপন থেকে নয়। গুগলের  আয়ের এর মাধ্যমে গুলো  আপনাকে  বিশমিত করবে। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি গুগোল কিভাবে কোটি কোটি টাকা আয় করে তাই আজকে আলোচনা করব গুগল কিভাবে আয় করে  এই আর্টিকেল।


আপনি নিশ্চয়ই বলবেন যে গুগল তো সবকিছুই ফ্রীতেই   দিয়ে থাকে। হ্যাঁ এটা সত্যি যে গুগলের অনেক ফ্রি সার্ভিস রয়েছে। আর এটাও জেনে রাখা অবশ্যক যে গুগলের এ ফ্রি সার্ভিসের ভিতর দিয়েই ব্যবসা করে যাচ্ছে। গুগোল যখন শুরু হয়  তখন তাদের মূল মন্ত্র বা চিন্তা ধারা এমন ছিল " তুমি যদি মানুষের জন্য বিনামূল্যে কাজ করো তাহলে মানুষই তোমাকে মূল্য দিবে, যা হবে তোমার জন্য অমুল্য সম্পদ"।সত্যিকার অর্থেই আজ গুগল মানুষের উপকার করতে করতে অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে।


তবে গুগল কিভাবে আয় করে এটি সবার মনে একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এ প্রশ্নের উত্তরটি আজকে আপনাদের যাওয়ার চেষ্টা করব।


আজকে আমরা জানব গুগল কিভাবে আয় করে। চলুন শুরু করা যাক মুল টপিকে!


আমি জানি গুগলের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে বিজ্ঞাপন। মোটা আয়ের ৭০.৯ শতাংশ আসে বিজ্ঞাপন থেকে। তাদের বিজ্ঞাপন পথ কিন্তু একরকম নয় তারা মূলত তিনটি পদ্ধতি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।


  • Google AdWords

  • Google AdSense

  • Google AdMod


এই তিনটি পদ্ধতিতে তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।


অন্যান্য উৎস থেকে গুগলের আয় কেমন?


গুগল তাদের মোটা আয় এর ২৯.১০ শতাংশ আয় করে তাদের অন্যান্য প্রোডাক্ট গুলোর মাধ্যমে। 


গুগল প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সব সেবা নিয়ে হাজির হয়। আর এসব সেবা থেকে তারা বেশ ভালো পরিমাণ আয় করে। এসব আয়ের  উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো অ্যান্ড্রয়েড এবং প্লে স্টোর।


অ্যান্ড্রয়েড থেকে গুগল সরাসরি টাকা আয় করতে পারে না। কিন্তু এটি তাদের আয়ের পথকে  বৃদ্ধি করে দিয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব অ্যাপ গুলো তারা ডিফল্ট ভাবে দিতে পারে। আর গুগলের এসব ডিফল্ট অ্যাপ থেকে বিজ্ঞাপন সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে থাকে।


এছাড়া প্লে স্টোরে থাকা  বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস গুগলের আয় করার অন্যতম মাধ্যম। প্লে স্টোরের অধিকাংশ বই, মিউজিক, গেমস এবং অ্যাপস টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিতে হয়। আর এই টাকা থেকেও গুগোল ভালো পরিমাণ আয় করে থাকে।


গুগোল ডিভাইস


প্রায় সাত বছর আগে পিক্সেল ফোনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় গুগোল ডিভাইস এর। পাশাপাশি ক্রোমবুক ক্রোমকাস্ট হোমের  মত প্রোডাক্ট বাজারে বের করে গুগোল। বর্তমানে গুগলের ফোন ওয়ানপ্লাস, অ্যাপেল এর অনেক বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাজারে টিকে আছে।


2018 সালে গুগল  ডিভাইস থেকে গুগলের আয়ের পরিমাণ ছিল আনুমানিক 2.98 বিলিয়ন ডলার। শুধু পিক্সেল ফোন থেকেই 2018 সালে 1.78 বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল গুগল।


G suite



সাধারণত গুগলের Gmail, calendar, drive,docs,slide sheets এই ধরনের   অ্যাপস গুলো G suite এর অন্তর্ভুক্ত। এসব অ্যাপস থেকে গুগোল আয় করে থাকে।


এ ধরনের অ্যাপস গুলো ফ্রিতে ব্যবহার করা গেলেও অতিরিক্ত সুবিধার জন্য অর্থ প্রদান করতে হয়। গুগোল ড্রাইভ এর বেসিক ভার্সন ব্যবহার করতে হলে দিতে হয় 6 ডলার। আর আপনি যদি আনলিমিটেড স্টোরেজ চান সে ক্ষেত্রে দিতে হবে 25 ডলার।


এই ধরনের গুগলের অন্যান্য ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হলে টাকা দিয়ে সাবস্ক্রিপশন কিনতে হয়। এখান থেকেও গুগল মোটা টাকা আয় করে।


গুগল ম্যাপ থেকে


গুগোল তাদের গুগল ম্যাপ থেকে বিজ্ঞাপন এবং এফবিআই এর মাধ্যমে আয় করে থাকে। বিজ্ঞাপন থেকে API এর  মাধ্যমে বেশি আয় করে গুগোল।


আপনার হয়তো অনেকেই API কি বুঝেন না। API মুলত একাধিক সফটওয়্যার কম্পোনেন্ট এর মধ্যে যোগাযোগের সুবিধা এবং এ সংক্রান্ত নিয়মগুলিকে API (Application Programming Interface) বলা হয়।


পৃথিবীর বড় বড় সব কোম্পানি UBER, TRIVAGO, AIRBNB গুগল api ব্যবহার করে থাকে।



আরো পড়ুন....




গুগোল ট্রান্সলেটর থেকে আয় (Google translate)



গুগল ট্রান্সলেট অনেকটা গুগল ম্যাপের মত। গুগল ম্যাপ আপনি যখন ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করবেন তখন ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চান তাহলে অর্থ প্রদান করতে হবে। তাদের এপিআই ব্যবহার করলে টাকা প্রদান করতে হয়।


এক্ষেত্রে 10 লক্ষ শব্দের জন্য 20 ডলার করে দিতে হয় গুগল কে। এখানে গুগলকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা দিতে হয়। এখান থেকেও গুগোল প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করে থাকে।

0/Post a Comment/Comments