আগ্নেয়গিরি ​কি ? আগ্নেয়গিরি কিভাবে সৃষ্টি হয়?



আগ্নেয়গিরি কি ? আগ্নেয়গিরি কিভাবে সৃষ্টি হয়?
আগ্নেয়গিরি কি ? আগ্নেয়গিরি কিভাবে সৃষ্টি হয়?




আগ্নেয়গিরি কি ? আগ্নেয়গিরি কিভাবে সৃষ্টি হয়?


আগ্নেয়গিরি। এটি সম্পর্কে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক জিনিস গুলোর মধ্যে আগ্নেয়গিরি একটি। এই আগ্নেয়গিরি রয়েছে লাভা। যা অত্যন্ত গরম । এটি যে কোন জিনিস খুব সহজেই গলিয়ে ফেলতে পারে এবং পুড়িয়ে ফেলতে পারে। আরেকটি আশ্চর্যজনক তথ্য হচ্ছে এই লাভার কারণেই তৈরি হয় ভূমিকম্প।


তাছাড়া আপনারা অনেকেই হয়ত জানেননা লাভা এবং ম্যাগমা মধ্যে পার্থক্য কি? তো আজকে আমরা জানবো আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে সবকিছু। আর্টিকেলটি যদি আপনারা সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে আর আপনার হয়তো কোন প্রশ্ন থাকবে না আশা করি।



আমাদের পৃথিবী কিন্তু সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে তৈরি না। এর নিচে রয়েছে অনেক খনিজ সম্পদ। এবং তারও অনেক নিচে রয়েছে ম্যাগমা। যা হচ্ছে নানা ধাতু এবং পাথরের গলিত উত্তপ্ত রূপ। সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় 6000 ডিগ্রী সেলসিয়াস।


আমাদের এই পৃথিবীতে সাতটি টেকটনিক প্লেট রয়েছে। এবং আরো 26 টি  সাবপ্লেট রয়েছে। এগুলো সর্বদা সরতে থাকে। যখন পৃথিবীর নিচে প্লেটগুলো সরতে থাকে তখন ভারী প্লেট গুলো নিচের দিকে চলে যায় আর হালকা প্লেটগুলো দিয়ে তৈরি হয় পাহাড় পর্বত। অন্যদিকে ভারী প্লেট গুলো নিচের দিকে যেতে থাকে।



যখন ভারী প্লেট গুলো অনেক নিচে চলে যায় তখন জিওথার্মাল এনার্জি গ্রাউন্ডে প্লেটগুলোর ধাতু এবং পাথর গলতে থাকে তারপর এটি ম্যাগমাতে রূপ নেয়। এই গলার ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় তার কারণে  হালকা প্লেটে অধিক চাপ উৎপন্ন হয়। আর একসময় এই হালকা প্লেট গুলো ফেটে বিস্ফোরণ হয়। যার কারণেই মূলত আগনিওগিরি সৃষ্টি হয়।



আর পৃথিবীর  surface সেই আগ্নেয়গিরি থেকে ফিরে আসা লাভা জমতে শুরু করে। এভাবেই লাভা চারপাশে জমে তৈরি হয় আগ্নেয়গিরি পাহাড়। পাহাড়ের উপরে বা যে দিক থেকে আগ্নেয়গিরির শুরু হয় সেই জায়গাকে আগ্নেয় মুখ বলা হয় ।



ম্যাগমা ও লাভার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। যখন ভূগর্ভে থাকে তখন তাকে বলা হয় ম্যাগমা আর সেই উত্তপ্ত জিনিস দেখুন পৃথিবীর বাইরে চলে আসে তখন তাকে বলা হয় লাভা। যদি কখনো ম্যাগমা উপরে থাকা প্লেটকে প্রেসার দিয়ে বাইরে বের হতে না পারে তখন  সেই প্রসারের কারণে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।



এর কারণে প্লেটেও অনেক প্রভাব পড়ে। তাই দেখা যায় অনেক সময় হাজার মাইল জুড়ে তৈরি হয় ভূমিকম্পের। আর যখন আগনিওগিরি বিস্ফোরণ হয় তখন অনেক বিষাক্ত ধোঁয়া এবং গ্যাস বেরিয়ে আসে। আর তরল রূপে বেরিয়ে আসে লাভা।



পৃথিবীতে যতগুলো আগ্নেয়গিরি রয়েছে সেগুলো মোট তিন প্রকার।


  • সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বা ম্যাজিকাল আগ্নেয়গিরি 
  • শুশুক আগ্নেয়গিরি
  • মৃত আগ্নেয়গিরি

আগ্নেয়গিরি কি?




সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বা মেদিক্যাল আগ্নেয়গিরি 


এই আগ্নেয়গিরি গুলোতে নিয়মিত বিস্ফোরণ হয়। বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় পনেরশোর বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।


হাওয়াই দ্বীপের মাওনিলুয়া আর ক্রাকাতুয়া পৃথিবীর সবচেয়ে প্রমুখ এবং সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।


শুশুক আগ্নেয়গিরি


এই আগ্নেয়গিরি গুলো অনেক বছর ধরে শান্ত বা ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু এগুলো যে কোন সময় জাগ্রত হতে পারে। তাই এই গুলোকে খুব ভয়ানক হিসেবে ধরা হয়।


জাপানের ফিউথিয়া। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম আগ্নেয়গিরি। এটি হচ্ছে শুশুক ক্যাটাগরি আগ্নেয়গিরি। এটি যেকোন সময় ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।



মৃত আগ্নেয়গিরি


এই ধরনের আগ্নেয়গিরি একেবারে শেষ। এই আগ্নেয়গিরি থেকে আর কোনো বিস্ফোরণ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।


সাউথ আমেরিকার চিম্বরাজো  সহ আরো অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই ক্যাটাগরিতে।


আরো পড়ুন




0/Post a Comment/Comments