ইউক্রেন দেশের ইতিহাস | জেনে নিন আয়তন, ভাষা, মুদ্রা, শহরের নাম শক্তি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য

ইউক্রেন দেশের ইতিহাস

ইউক্রেন দেশের ইতিহাস
ইউক্রেন দেশের ইতিহাস



আজকে আপনাদের এমন একটি দেশের সাথে পরিচয় করাতে চলেছি যাকে অনেকেই স্বর্গের সাথে তুলনা করেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা ইউক্রেন দেশের ইতিহাস সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ  ও মজার তথ্য জানতে পারবো।


ইউক্রেন দেশ টি অবস্থিত পূর্ব ইউরোপে। ইউক্রেন অবস্থিত পূর্ব ইউরোপে। দেশটির পূর্ব দিক এবং উত্তর-পূর্ব দিকের সীমানা জুড়ে রয়েছে রাশিয়া, উত্তরে অবস্থিত বেলারুশ। পশ্চিম দিকে অবস্থিত পোলার, স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরি এবং দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মালটোভা রোমানিয়া এবং কৃষ্ণ সাগর।


এ দেশটির দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ক্রিমিয়া। যা 2014 সালে রাশিয়ার দখলে চলে আসে। ক্রিমিয়া  কে কেন্দ্র করে যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে  সম্পর্ক খুবই অস্থির। রাশিয়ার পর সমগ্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ হল এই ইউক্রেন । 


ইউক্রেনে আয়তন 


ইউক্রেনে আয়তন হল প্রায় ছয় লক্ষ 3 হাজার 628 স্কয়ার কিলোমিটার  । ইউক্রেইনে মোট জনসংখ্যা প্রায় চার কোটি 17 লক্ষ 43 হাজার। অর্থাৎ প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব হলো প্রায় 74 জন।


ইউক্রেনে ধর্ম


ইউক্রেনের প্রধান ধর্ম হচ্ছে খ্রীষ্টান।  মোট জনসংখ্যার প্রায় 87 শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে। তবে এখানে উল্লেখ্য যে এরপর প্রায় এখানে 11 শতাংশ মানুষ কোন ধর্ম পালন করে না।


ইউক্রেনে ভাষা


ইউক্রেনে আপনি অনেক ধরনের জাতিগত গোষ্ঠীর লোক দেখতে পারবেন। এখানে উল্লেখযোগ্য জাতিগত গোষ্ঠী হল ইউক্রেনিয়ান,রাশিয়ান ইত্যাদি। এখানে আধিকারিক ভাষা হল ইউক্রেনিয়ান।


তবে এই ভাষাটি ছাড়াও এখানে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় যেমন, বেলারুসিয়ান বুলগেরিয়ান  হিব্রু ইত্যাদি।


ইউক্রেনে সরকার ব্যবস্থা


ইউক্রেনে ইউনিটারি সেমি প্রেসিডেনশিয়াল কনস্টিটিউশনাল রিপাবলিক এই ধরনের সরকার দেখা যায়।


অর্থাৎ এখানে প্রেসিডেন্ট এবং প্রাইমিনিস্টার দুজনেই সমান গুরুত্ব অধিকারী। ইউক্রেনে রাজধানী এবং সব থেকে বড় শহরের নাম হলো কিয়েভ। এবং এখানে জাতীয় মুদ্রার নাম হচ্ছে "Ukrainian hryvnia". 


এতক্ষণে ইউক্রেন সম্পর্কে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ন তথ্য গুলি তুলে ধরলাম। আশা করি ইউক্রেন সম্পর্কে অনেক খানি জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছেন। ইউক্রেন দেশের ইতিহাস আরো ভালোভাবে জানার জন্য এবং ওখানকার পরিবেশ, সংস্কৃতিকে আরো ভালোভাবে জানার জন্য  কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য  জেনে নেওয়া যাক।


ইউক্রেনে দেশের ইতিহাস


ইউক্রেনের ইতিহাস যদি আপনাকে ভালোভাবে জানতে হয় তাহলে রাশিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। রাশিয়া যখন ইউনাইটেড স্টেট অফ সোভিয়েত রাশিয়া নামে পরিচিত ছিল তখন ইউক্রেনও ওই ইউনিয়নের একটি দেশ ছিল। পরে যখন সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে যায় তখন ইউক্রেন একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।


বর্তমানে এই দুটি দেশের সম্পর্ক খুব একটি ভালো নয়। ইতিহাসের এমন অনেক অধ্যায়ে আছে যা এই দেশ দুটি দেশের মধ্যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


১.ইউক্রেনের খাদ্যাভাস


ইউক্রেনে খাদ্যাভাস অন্যান্য দেশের মতো হলেও এ দেশের নিজস্ব কিছু কিছু খাবার আছে। যা শুধুমাত্র ইউক্রেনে বিখ্যাত। তাই খাদ্য তালিকা দিক দিয়ে দেখলে ইউক্রেন অন্যান্য দেশের থেকে কিছুটা আলাদা। ক্লিন জাতীয় খাদ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি খাদ্য নাম হচ্ছে সালো।


এই খাদ্যটি খুবই অদ্ভুত ধরনের উপকরণ দাঁড়া তৈরি করা হয়। এই খাদ্যটির মূল উপাদান হচ্ছে শুয়োরের চর্বি জাতীয় মাংস। এই মাংস একবারে ঠান্ডা করে পেঁয়াজ রসুন আচার সহকারে খাওয়া হয়।


২.বিবাহ


সারাবিশ্বে বিবাহ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র একটি বন্ধন। এ দেশেও এই বন্ধন টিকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে বিবাহের দিন গুলো খুবই ধুমধামের সাথে পালন করা হয় তবে একটি ব্যাপারে ইউক্রেন কিন্তু অন্য দেশ থেকে একটু আলাদা। সারাবিশ্বে যেখানে বিবাহের আংটি বাম  হাতে পড়ানো হয় সেখানে এই দেশে এটি ডান হাতে পড়ানো হয়।


২.মদ্যপান


মদ্যপানের দিক দিয়েও ইউক্রেন কিন্তু পৃথিবীর দাবর দেশগুলো থেকে এগিয়ে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বার্ষিক মদ্যপান পরিমাণের দিক থেকে ইউক্রেনে পৃথিবীর ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে অর্থাৎ এটা সহজেই বলা যায় যে ইউক্রেন মদ্যপানের দিক থেকে একটু সৌখিন দেশ।


৩.ইউক্রেন তেল


ইউক্রেন দেশের জাতীয় তেলের নাম Horilka। আপনার হয়তো অনেকেই জানেন ভোটকা নামক পানীয়কে ক্লিনার ওয়াটার বলা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি এই পানীয়কে ক্লির্নিং ওয়াটার বলা হয়। ক্লির্নিং ওয়াটার বলার পেছনে একটা মজার কারণ আছে এই হারিকা পান করা হয় মূলত লঙ্কা বা মরিচ সহযোগে।এবং এই অদ্ভুত চাট সহকারে পানীয় পান করা হয় বলে এই পানীয়কে বার্নিং ওয়াটার বলা হয়।


৪.ইউক্রেনের দর্শনীয় স্থান


ইউক্রেনে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। একদিকে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তেমনি অপরদিকে রয়েছে বিভিন্ন চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য। তাই ইউক্রেন যদি আপনি কোনদিনও বেড়াতে যান তো অবশ্যই আপনার ক্যামেরাটি নিয়ে যাবে।


কারণ এখানে যেই দর্শনীয় স্থান এতগুলি আছে এগুলি যদি আপনি ক্যামেরাবন্দি না করেন তাহলে আপনার ইউক্রেন বেড়াতে যাওয়া টাই বৃথা। এরকম একটি দর্শনীয় স্থান হল টানেল অফ লাভ।




এই টানেল অফ লাভ হচ্ছে একটি রেলওয়ে। যা সবুজ ঘন অরণ্যের মধ্যে দিয়ে গেছে। ইউক্রেনে ক্লেভান এবং অর্জিত শহরের মধ্য দিয়ে গেছে এই রিয়েলিটি। এই স্থানটি বর্তমানে একটি রোমান্টিক স্থান নামে পরিচিত।


তার সাথে আপনাদের আরেকটি মজার তথ্য জানিয়ে রাখতে চাই যে এই রোমান্টিক স্থানটি কিন্তু কোন রোমান্টিক  স্থান তৈরি করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়নি। আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লুকিয়ে সেনাবাহিনী চলাচলের জন্য এই রেলপথ নির্মিত হয়।


৫.ইউক্রেনের কফি


আপনি যদি কফি খেতে ভালোবাসেন এবং ইউক্রেন বেড়াতে আসেন তাহলে অবশ্যই আপনার ইউক্রেনের লিভিব শহরে যাওয়া উচিত। এই শহরে প্রায় 15শ টির বেশী কফির দোকান আছে। অন্য কোন দেশের  কোন শহরে এত ক্যাফেটেরিয়া নেই। তাই কফি প্রেমিকদের কাছে এই লিভিব শহরের জনপ্রিয়তা অনেক।


৬.ইউক্রেন সংস্কৃতি ঐতিহ্য


আগেই জানিয়েছি যে ইউক্রেন নিজের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে খুবই সম্মান করে। এবং এই দেশের ঐতিহ্য  দেশের  মানুষের জীবন যাপনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ঠিক একইভাবে এই দেশের সংগীতেও তাদের নিজস্বতা একটি দারুন ছাপ লক্ষ্য করা যায়।


এখানে একটি ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট হল TremBita. এটি একটি বড় কাঠের বাদ্যযন্ত্র। যা দেখতে কিছুটা সিংহের মত। এই বাদ্যযন্ত্রটি এই দেশের হাইল্যান্ডার খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে। জেনে রাখা ভালো যে পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম বাদ্যযন্ত্র কিন্তু TremBita।


৭.চেরনোবিলের দুর্ঘটনা


ইতিহাসে যদি সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই চেরনোবিলের দুর্ঘটনা। এই চেরনোবিল একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। যা ইউক্রেনের প্রিপাড শহরে অবস্থিত। 1986 সালের এপ্রিল মাসে এই চেরনোবিল একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। যার ফলে এখানে নিউক্লিয়ার ব্লাস্ট হয়।


এই ঘটনার পর প্রিপেড শহরটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়। বর্তমানে এটি একটি ঘোষ টাউন হিসেবে পরিচিত। আপনি জানলে অবাক হবেন যে চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর যে নিউক্লিয়ার ব্লাস্ট হয়েছিল তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জাপানের হিরোশিমা পড়া নিউক্লিয়ার বোম এর থেকে প্রায় 400 গুণ বেশি ধ্বংসাত্বক ছিল।


এ বিস্ফোরণের ফলে এই অঞ্চলের আশেপাশের এলাকা গুলি এখনো দূষিত হয়ে রয়েছে। বলা হয় চেরনোবিলের এই বিস্ফোরণের ফলে যে রেডিও একটিভ রেন্ট তৈরি হয়েছিল তা প্রায় আয়ারল্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।


৮.বয়স


ইউক্রেন এমন একটি দেশ যেখানে ছেলেদের গড় বয়স এবং মেয়েদের গড় বয়স গড় বয়সের তুলনায় অনেকটাই কম। এখানে মেয়েদের গড় বয়স 76 বছর সেখানে ছেলেদের মাত্র 66 বছর। আসলে এখানে পুরুষরা ভীষণভাবে মদ্যপানে আসক্ত। এবং এই অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্যই পুরুষদের গড় বয়স কম।


৯.জনপ্রিয় উৎসব


এখানে একটু জনপ্রিয় উৎসব হচ্ছে Easrer egg festival। এই উৎসব এপ্রিল মাসে পালন করা হয়। এই সময়ে এখানকার নাগরিকরা বড় বড় সাইজের ডিমের মধ্যে সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করে। যা দেখতে খুব সুন্দর হয়।


প্রথমেই লো  কোয়ালিটির চকলেট দিয়ে ডিমটিকে স্টাফিন করে তারপর তাতে মোম ব্যবহার করে বিভিন্ন কারুকার্য করা হয়। বিপদের দিকে  Pysankas বলা হয়।ইউক্রেনে বিভিন্ন প্রান্তে এই ডিম ডিজাইন করার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন হয়।



১০.সবচেয়ে বড় প্লেন


আপনি জানলে অবাক হবেন যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্লেন কিন্তু ইউক্রেনে তৈরি হয়েছিল। ইউক্রেনের কিয়েভ শহরের  Antonov An-225 Mriya নামে প্লেন্টি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্লেনের রেকর্ড করেছিল।


এ প্লেন্টি লম্বায় প্রায় ৮৮.৪ মিটার এবং এর ওজন প্রায় ছয় লক্ষ 40 হাজার কিলোগ্রাম।


আধুনিকতা এবং প্রাচীনত্ব


ইউক্রেন মানে আধুনিকতা এবং প্রাচীন প্রাচীন অত্যন্তের  এক দারুণ মেলবন্ধন। এবং এই মেলবন্ধনের সাক্ষী থাকতে পারে যেকোনো দর্শনার্থীদের কাছেই পরম সৌভাগ্যের বিষয় তাই ইউক্রেনে আপনি যখনই বেড়াতে তখন সেখানে কার প্রাচীনত্ব বোঝার চেষ্টা করবেন।


যেমন এখানে আপনি আজগড়া নামক এক ধরনের মহিলা দেখতে পাবেন। যারা প্রাচীনকাল থেকেই মেয়েদের মার্শাল আর্ট শেখানো কাজ করে আসতেছে। এই মহিলারা প্রাচীনকালেও  মেয়েদের এই কলা শেখাতো। যাতে তারা পুরুষদের মন জয় করতে পারে।


বর্তমানে উইক্রেনের এমপাওয়ারমেন্ট এর কথা মাথায় রেখে এরা এখনও এই কলা শিখিয়ে যায়।


ইতিমধ্যেই আপনাদের বলেছি যে ইউক্রেনের ইতিহাস জানতে হলে রাশিয়ার ইতিহাস ও আপনাকে জানতে হবে। কারণ ইতিহাসের এমন অনেক অধ্যায়ে আছে যা এই দুটি দেশকে সমান ভাবে তুলে ধরে। 


ঠিক এমন একটি অধ্যায় হচ্ছে ১৯৩৩ সালে মহামারী সময়। 1933 সালে এখানে এক মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। মহামারী প্রকোপ যত বাড়তে থাকে ততটাই মানুষের মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে। কিন্তু তখন খুব অমানবিকভাবে সোভিয়েত রাশিয়া এই মহামারীর নিয়ন্ত্রণে আনার কোন রকম চেষ্টা করেনি। এই মহামারীর প্রায় 48 লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল।


তার থেকেও তাজ্জব ব্যাপার যে এই মহামারি প্রকোপ এখানকার কৃষি ব্যবস্থাতেও পরে। তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ সময় প্রায় 2 হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য। ভাবুনতো তাহলে কতটা কঠিন সময়ে এই নাগরিকদের পার করতে হয়েছিল।


ইউক্রেন ইউরোপের রাশিয়ার পড়ে সবচেয়ে বড় দেশিই নয় বরং সৈন্যের  দিক দিয়েও ইউরোপের সবচেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হওয়ার পর  এই দেশটি তাদের সৈন্য ক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়েছে।


সমুদ্র সৈকত 


এই দেশের অনেকটা অংশ জুড়ে গ্যালাক্সি বা কৃষ্ণসাগরে ঘেরা। এখানকার মানুষদের মধ্যে এটি খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা। এখানকার মানুষরা এই সমুদ্র সৈকতে খুব মজা করে থাকে।


আশা করি আপনারা ইউক্রেন সম্পর্কে বিভিন্ন মজাদার এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আজকের পোস্ট থেকে জানতে পেরেছেন। ইউক্রেন সম্পর্কে আরো কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ

0/Post a Comment/Comments