ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ |
ইমিগ্রেশন নিয়ে সর্বশেষ সকল আপডেট নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য পাবলিশ করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ নিয়ে। ক্রোয়েশিয়াতে কিভাবে যাবেন ক্রোয়েশিয়া কাজের বেতন কেমন পাবেন এবং ক্রোয়েশিয়া তে যাওয়ার জন্য কি কি নিয়ম কানুন আপনাকে মানতে হবে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। তাই ভালোভাবে আজকের এই পোস্টটি পড়ুন ইনশাআল্লাহ আপনার সমস্যার সমাধান এবং উত্তর পেয়ে যাবেন।
আপনারা অনেকেই জানেন যে ক্রোয়েশিয়া সেনজেন ভুক্ত দেশ নয়। কিন্তু ইউরোপের একটি দেশ। ক্রোয়েশিয়া তে আমাদের দেশ থেকে বিগত সালে প্রচুর পরিমাণ বাঙালি ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা নিয়ে কাজ করতে গিয়েছে।
তাদের মধ্য থেকে কিছু লোক আছেন যারা ক্রোয়েশিয়ার প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন আর কিছু লোক ক্রোয়েশিয়াতেই আছেন। যার কারণে এখন যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে।
কোরেশিয়াতে কি বাংলাদেশ থেকে ভিসা হচ্ছে?
বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়া ভিসা: অনেকেই বলতে পারেন বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ার ভিসা হচ্ছে কিনা? হ্যাঁ অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ার ভিসা হচ্ছে। এবং ভিসার রেট বলা চলে মোটামুটি 100 পার্সেন্ট ঠিক আছে। কারণ এটা নির্ভর করে আপনার ওয়ার্ক পারমিট এর তথ্য কতটা সঠিক। যদি আপনার ওয়ার্ক পারমিট সঠিক এবং বৈধ হয়ে থাকে তাহলে ক্রোয়েশিয়ার ভিসা পাওয়া একদম সহজ। এটা নিয়ে আপনার কোনো ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে না।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা
ক্রোয়েশিয়ার যাওয়ার জন্য আপনাদের প্রয়োজন হবে একটি মেয়াদ যুক্ত এবং বৈধ পাসপোর্ট। এখানে মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট বলতে আমি বুঝাতে চাচ্ছি আপনার পাসপোর্ট এর 6 মাস থেকে এক বছর মেয়াদ থাকতে হবে।
পাসপোর্ট এর সাথে লাগবে আপনার আপডেট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টা অবশ্যই আপনারা সবসময় আপডেট রাখার চেষ্টা করবেন। আপনার বায়োডাটা সবসময় রেডি রাখবেন, পাশাপাশি ইউরোপিয়ান স্টাইলে পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
"ক্রোয়েশিয়ার জব ভিসা" বা ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনি কি কোন বিশ্বস্ত এজেন্সির কাছ যেতে হবে এবং সেই এজেন্সি আপনার ওয়ার্ক পারমিট ম্যানেজ করে দিবে। বাকি যেই ক্রোয়েশিয়ার জব ভিসা প্রসেসিং গুলো আছে সেগুলো পুরোটাই তারা সম্পাদন করবেন।
আর অবশ্যই মনে রাখবেন ক্রোয়েশিয়া তে যাওয়ার জন্য আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টা আপডেট বা সত্যায়িত রাখবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিভাবে সত্যায়িত করবেন
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দুইভাবে সত্যায়িত করতে পারবেন। প্রথমত বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাছে থেকে এবং দ্বিতীয়তো দিল্লিতে অবস্থিত ক্রোয়েশিয়ার এম্বাসি থেকে আপনাকে সত্যায়িত করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টা সত্যায়িত করার পর এটি আপনি যেই এজেন্সির মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদেরকে দিতে হবে। তারা সেটা ক্রোয়েশিয়াতে পাঠিয়ে দিবে এবং তাদের এজেন্টের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট দেবে।
সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে এবং আপনার ওয়ার্ক পারমিট যদি বৈধ থাকে তাহলে পরবর্তীতে তারা আপনাকে একটি ভিসার জন্য আবেদন করতে বলবে। তারপর একটা ডেট নিয়ে দিল্লিতে অবস্থিত ক্রোয়েশিয়ার এম্বাসিতে ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আমাকে একজন প্রশ্ন করেছিলো যে রোমানিয়ায় যাওয়ার সময় যেমন এজেন্ট গুলো আমাদের কাছ থেকে ফাইল নিয়ে এম্বাসিতে পাঠিয়ে দেয়। তেমনি ক্রোয়েশিয়া তে যেতে হলেও কি এজেন্টের মাধ্যমে ফাইল এম্বাসিতে সাবমিট করা যাবে কিনা?
না এই নিময়টা এখন আর নেই।
এখন আপনাকে সশরীরে উপস্থিত থেকে তাদের এম্বাসিতে গিয়ে ফাইল সাবমিট করতে হবে।
২০১৯ সালের দিকে এই নিয়মটি ছিল। গ্রাহক তার এজেন্সির মাধ্যমে ফাইল সাবমিট করে ভিসা নিতে পারত। কিন্তু বর্তমানে এই নিয়মটি আর নেই এখন আপনাকে সশরীরে উপস্থিত থেকে ফাইল সাবমিট করে ভিসা নিতে হবে।
তাই এখন আপনাকে সশরীরে দিল্লি এম্বাসিতে গিয়ে পাসপোর্ট সাবমিট করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং ভিসা হয়ে গেলে আপনাকে সশরীরে গিয়ে পাসপোর্টটি উত্তোলন করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে কোন ক্রোয়েশিয়ায় যাওয়ায় ব্যাতিক্রম নিয়ম
বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ায় যাওয়া সাম্প্রতিক একটি ব্যতিক্রম নিয়ম আলোচনায় উঠে এসেছে। আমরা যখন ক্রোয়েশিয়া যাই তখন অনেকেই ক্রোয়েশিয়া গিয়ে সেখানে স্থায়িত্ব হয় না বরং তারা সুযোগ খুঁজে পালিয়ে আরও উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও যাওয়ার জন্য।
এ বিষয়গুলো ঘটার জন্য ক্রোয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আপনাদের যখন ভিসা হয়ে যাবে তখন ফ্লাইট এর পূর্বে BMET তে ১ লক্ষ্য টাকা জমা রাখতে হয় জামানত স্বরুপ।
আপনি যদি ক্রোয়েশিয়াতে এক বছর অবস্থান করেন তাহলে BMET আপনার জমা থাকা এক লক্ষ টাকা বাংলাদেশে আপনার অভিভাবক দের কাছে ফেরত দেওয়া হবে। আর যদি আপনি ক্রোয়েশিয়া থেকে পালিয়ে যান তাহলে আর এই এক লক্ষ টাকা আপনি ফেরত পাবেন না। এই ব্যতিক্রম নিয়ম টা হয়েছে শুধুমাত্র আমাদের গাফিলতির কারণে। আমাদের সমস্যার কারণে।
যে দেশেই যায়না কেন চেষ্টা করবেন সেখানে অবস্থান করতে যেন আমাদের পরবর্তীতে যারা আসবে তাদের যেন কোন অসুবিধা না হয়।
ক্রোয়েশিয়া কাজের বেতন কত
ক্রোয়েশিয়া কাজের বেতন মোটামুটি ভালই। ক্রোয়েশিয়ার সরকারের একটি নির্দিষ্ট সেলারি রুলস রয়েছে। সেই সেলারি রুলস অনুযায়ী আপনাদের বেতন ধরা হবে 500 ইউরো। অর্থাৎ 50 হাজার টাকা। এখানে 50 হাজার টাকা কিন্তু আপনার সর্বনিম্ন স্যালারি হবে।
যদিও ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত কান্ট্রি নয়। তবুও অন্যান্য দেশের তুলনায় ক্রোয়েশিয়া জীবন মানে একটু উন্নত।আপনারা যদি সেখানে অবস্থান করেন তাহলে আপনাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ক্রোয়েশিয়া কাজের বেতন আরো বাড়তে থাকবে।
ক্রোয়েশীয় ভাষা
ক্রোয়েশিয়া যেতে কত দিন সময় লাগে
ক্রোয়েশিয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি দিন সময় অপেক্ষা করতে হয় না। এর জন্য অবশ্যই আপনার মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে আপনি চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে যেতে পারবে। অর্থাৎ এই চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই আপনার ক্রোয়েশিয়া ভিসা হয়ে যাবে।যত দ্রুত আপনার আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হবে তত দ্রুত আপনি ক্রোয়েশিয়ার জব ভিসা পাবেন এবং সেখানে যেতে পারবেন। আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ
আপনার কথা গুলো খুব সুন্দর গোছানো,
উত্তরমুছুনক্রোয়েশিতে কি কাজ শিখে গেলে খুব সহজে কাজ পাওয়া যায়,
তাছাড়া এই দেশে কোন কাজের ডিমান্ড বেশি?
ওই দেশে কি ক্রেং বা লেংগুজার মানে মাঠি সমান করার গাড়ি নানান কাজে ব্যাবহার হয় এমন ড্রাইভার কি ড্রাইভিং করতে পারবে??
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন