ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার উপায়

 


ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার উপায়
ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার উপায়



ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার উপায়


ভালো ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া মানে অন্যদের অনুসরণ করা নয়। এর অর্থ আপনার মাঝে ভালো খুঁজে বের করা এবং তা সবার কাছে তুলে ধরা। সংশোধন করার জন্য মানুষের  সব সময় সুযোগ থাকে কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট আছেন কিনা?


কাউকে দেখে আপনি ভাবেন ভাল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ তিনি। এর কারণ কিন্তু লোকটি ব্যক্তিত্বের চর্চা করছে এমন  না, এর কারণ লোকটি সৎ এবং অমায়িক।



আপনিও কি নিজেকে ভাল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান?যদি এমন কিছু সত্যিই চেয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি। 


ভালো ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার উপায় আর্টিকেলে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে একান্ত নিজের ভিতর উন্নয়ন দ্বিতীয় টি হচ্ছে মানুষের সাথে আপনার প্রকাশভঙ্গি।

এক নজরে দেখে নেই কী কী থাকছে আজকের এই ভালো ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার উপায় আর্টিকেলটিতে 



  • ১.একান্ত নিজের ভিতরের উন্নয়ন

  • (১.১)নিজের কাছে সৎ থাকা

  • (১.২)আনন্দে থাকা

  • (১.৩)জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা না করা 

  • (১.৪)নিজের আগ্রহ বাড়ানোর

  • (১.৫)যেকোনো বিষয়ে মতামত দেওয়া 


  • ২.মানুষের সাথে আপনার প্রকাশভঙ্গি

  • (২.১)প্রশ্ন করা এবং অন্যের প্রতি আগ্রহ হওয়া

  • (২.৩)নিজের আত্মবিশ্বাস দেখান

  • (২.৩)হাসিখুশি ও চিন্তা মুক্ত থাকুন

  • (২.৪)সহানুভূতি সম্পন্ন হওয়া 

  • (২.৫)স্থির শান্ত ও নিরুদ্দেগ থাকা

  • (২.৬)সম্পর্কের দরজা খোলা রাখা



আরো পড়ুন..


নিজের ব্যক্তিত্বকে ভেতর থেকে জাগিয়ে তোলার উপায়/একান্তে ই নিজের ভিতরের উন্নয়ন


নিজের কাছে সৎ থাকা


বিব্রতকর পরিস্থিতি গুলো সব সময় অপ্রীতিকর। আপনি জানান তা হওয়ার চেষ্টা করবেন না। নতুন কারো সাথে পরিচিত হওয়ার সময় যদি তাদের কোনো বিষয়ের সাথে আপনার মিল না থাকে  তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তাদের সাথে হালকা কথাবার্তা চালিয়ে যান এবং বন্ধুসুলভ ভাবে প্রশ্ন করুন।


ধরে নিন আপনি একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছেন সেখানে নতুন কিছু বন্ধু বানাতে চান কিন্তু কোন একজনের সাথে কথা বলতে আপনার বিরক্ত লাগছে সে ক্ষেত্রে কোন রকম অভিনয় না করে বিনয়ের সাথে আলাপ চারিতা শেষ করুন।


আনন্দে থাকা


সব সময় ভালো কিছুর খোঁজ করুন ইতিবাচক ধারণা রাখুন এবং হাসিখুশি থাকুন। একজন সুখী মানুষ কে কেউ কিন্তু বাঁধা দিতে পারেনা। এর অর্থ এই নয় যে নিজের সাথে প্রতারণা করতে হবে বা নিজের অনুভূতি গুলোকে ধামাচাপা দিতে হবে। 


কোন কিছু আপনার বিরক্তর কারণ হওয়া সত্ত্বেও হাসিখুশি ভাব ধরে রাখতে হবে এমন টা নয়। সবকিছুর ভালো দিক খুজে বের করুন এবং তা নিয়ে আনন্দে থাকুন। একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম গুন।


জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা না করা 


অন্যদের কাছে জনপ্রিয় হওয়া যদি আপনার মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে তবে আপনি আপনার আসল উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন,তাই নয় কি?।গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এমন নির্ভরতার ফ্রেন্ড সার্কেল তৈরি করুন, আপনি যাদের প্রতি আন্তরিক এবং যারা আপনার প্রতি অমায়িক।


এমন কিছুর পিছনে ছুটবেন না যে আপনার অসংখ্য বন্ধু থাকতে হবে ভেবে শুধু সংখ্যায় বন্ধু বাড়াচ্ছেন। যাদের সঙ্গ আপনার ভালো লাগে শুধু তাদের সঙ্গেই থাকুন।

যদি তারা সংখ্যায় প্রচুর হয় তাহলে ভালো। আর যদি সংখ্যা মাত্র তিনজনও হয় তা হলেও চলবে।



নিজের আগ্রহ বাড়ানোর


যেকোনো বিষয়ে কথা বলার আগ্রহ থাকাটা ভালো।ভালো ব্যক্তিত্বের অন্যতম একটি প্রধান গুন। এর মানে এমন না যে কোন একটি দুর্বোধ্য বিষয়ে শুধুমাত্র আপনার আগ্রহ আছে বলেই সেটা শিখে ফেলতে হবে। আবার আপনি যদি খুব সহজে ও মজার করে অন্যদের কিছু বোঝাতে বা শেখাতে  আগ্রহী হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার কি পছন্দ সেটা ব্যাপার না। তাই প্রতিদিন কিছু না কিছু অন্তত পুরুন। বিনোদনমূলক কিছু দেখুন। এবং নতুন নতুন শখ  তৈরীর মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা বানান নিজের ব্যক্তিতকে বিকশিত করুন।



যেকোনো বিষয়ে মতামত দেওয়া 


এটিও ঠিক আগ্রহ বাড়ানোর মতই ব্যাপার। আপনি যখন অন্যদের সাথে কোন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাবেন খুব স্বাভাবিকভাবে চাইবেন সে বিষয়টিতেই আপনার ধারণা থাকুক। রাজনীতি,খেলাধুলা,বিনোদন, অথবা অন্য যে কোন ব্যাপার হতে পারে আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করুন। কথা বলতে গিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করুন। নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে।


কারো কথার সাথে সমর্থন অথবা দ্বিমত প্রকাশ নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। নম্র ভাষায় নিজের যুক্তি উপস্থাপন করুন। যারা নিজের মত প্রকাশ করতে সক্ষম এমন ব্যক্তিত্বকে মানুষ জন সমীহ করে।


অন্যের কাছে নিজের ব্যক্তিত্ব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার/মানুষ সাথে আপনার প্রকাশভঙ্গি



also read

  1. ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করার করবেন।
  1.  ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায় কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করবেন।
  1. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?কিভাবে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়?


প্রশ্ন করা এবং অন্যের প্রতি আগ্রহ হওয়া


ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে এটি অনেকটা সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ অভ্যেস। মানুষজন নিজেদেরকে নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে। আপনি যদি কৌতুহলী ও দৃঢ় দৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ হন তবে কারো সাথে কথা বলে আপনি তা সম্পর্কে বেশ মজার অনেক কিছু জানতে পারবেন।


যার সাথে আপনি কথা বলছেন তার গ্রহণহের বিষয়ে কি তা ভালোভাবে জানার জন্য প্রশ্ন করুন। দেখা যায় বেশিরভাগ লোকই তাদের কাজ পরিবার বা সন্তানদের নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে। তারা কোন বিষয়ে কৌশলী তা খুঁজে বের করে কথোপকথন শেষ করুন।



একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। মনে করুন আপনি কারো পছন্দ সম্পর্কে জানতে চান। এ জন্য তাকে অসংখ্য প্রশ্ন করার দরকার নেই। কথার সাথে তাল মিলিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা থেকে প্রশ্ন করুন।


হতে পারে আপনার পাহাড়ে বাইক চালানোর খুব পছন্দের এবং লোকটিও তাই সে ক্ষেত্রে আপনি পাহাড়ি কতটা ভালো বাইক চালাতে পারেন সে বিষয়ে কথা না বলে লোকটির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন।



নিজের আত্মবিশ্বাস দেখান


আপনি যেমন নন নিজেকে  তেমন  ভাবে প্রকাশ করা প্রয়োজন নেই। এটি ভালো ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বাধ। আত্মবিশ্বাস নিজের স্বরূপ কে তুলে ধরে তাই আত্নবিশ্বাসী হয়। আবার আত্মবিশ্বাসী হওয়ার অর্থ হঠাৎ আপনাকে অনেক বেশি কথা বলার স্বভাবের অধিকারী হতে হবে এমনটা নয়। নিজেকে নিজে বলুন আপনি অসাধারণ একজন। আপনার যে ব্যক্তিত্ব তার প্রতি আত্মবিশ্বাসি থাকুন। তাতে অন্যরাই  আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। আপনাকে আর অন্য কিছু করতে হবে না।


মানুষ তাকেই পছন্দ করেন, যিনি ভেতরে বাইরে একজনই। যার মধ্যে কোনো লুকোচুরি কিংবা শো অফ নেই। তাই নিজের ব্যক্তিত্বের উপর পূর্ণ আস্থা রাখুন।


হাসিখুশি ও চিন্তা মুক্ত থাকুন 


অন্যের জীবনে কিছু আনন্দপূর্ণ মুহূর্ত এনে দেওয়া জন্য তারা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। অন্যের অবস্থান নিয়ে কখনো হাসি ঠাট্টা করবেন না সব কিছুর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন। কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তা না থেকে কিংবা সে বিষয়ে অভিযোগ না করে অন্যদের সাথে হাসিখুশি চেষ্টা করুন। সবাই আপনার ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করবে। আর এটি হয়তো আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।


সহানুভূতি সম্পন্ন হওয়া 


এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। আপনি যেমনি হননা কেন যদি আপনি অন্যদের প্রতি সহানুভূতি পূর্ণ মনোভাব না রাখেন তবে শুধুমাত্র তারাই আপনাকে অপছন্দ করবে যারা আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত।


অন্যের প্রতি কঠোর হওয়ার কিছু নেই। কিউ যদি  আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তবে মনে করার চেষ্টা করুন আপনার কোন কাজটি তাকে এমন ব্যবহার করতে বাধ্য করেছে। হতে পারেন তারা তাদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে অবস্থান করছে। প্রকৃতপক্ষে তারা খুবি ভালো মানুষ।


অন্যের মাঝে ভালো দিক খোঁজার চেষ্টা করুন, ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে যেটা অবশ্যক। আপনাকে বোকাসোকা হতে হবে এমনটা নয় আপনি সংশয়পূর্ণ থাকতেই পারেন ,এর অর্থ এই নয় যে এজন্য আপনি অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন।


স্থির শান্ত ও নিরুদ্দেগ থাকা


সবসময় নিজেকে স্থির রাখুন। বিশেষ করে যেসব পরিস্থিতিতে সেসব ক্ষেত্রে যদি আপনি নিজেকে শান্ত রাখতে পারেন তাহলে সবার কাছে আপনার মূল্যায়ন বেড়ে যাবে। যেটা যেভাবে ঘটে তাকে সেভাবেই গ্রহণ করুন।


খুব বেশি উত্তেজিত কিংবা একেবারে নিষ্ক্রিয় থাকা কোন কাজের না। ব্যাপারটা আপনাকে সচেতন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আপনারই  নিয়ন্ত্রিত থাকার গুনটি সবার কাছে আপনার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিবে।

যদি কারো কোন সমস্যা হয়ে থাকে তবে তাকে প্রফুল্ল এবং চিন্তা মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।


সম্পর্কের দরজা খোলা রাখুন


কারো সম্পর্কে সহজে কোন সিদ্ধান্তে আসবেন না যদি আপনার কাউকে পছন্দ না হয় তবুও তাকে  অন্তত একটি সুযোগ দিন। এই সুযোগ নিশ্চয়ই আপনিও চান তাই নয় কি।


কারো কাছে ভালো ব্যবহার পেতে হলে নিশ্চয়ই আপনাকেও  তার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।



যারা আপনার থেকে বেশি জনপ্রিয় কিংবা যাদের কাছ থেকে আপনি সাহায্য পেতে পারেন শুধুমাত্র তাদেরকেই বন্ধু বানাতে হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। সবার সাথেই পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন।


সব সময় ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন যাদের সাথে থাকতে আপনার ভালো লাগে। আর অবশ্যই নতুন সম্পর্কের ক্ষেত্রে মনের দরজা খোলা রাখুন।


আশা করি উপরের আপনি কি একজন ভালো ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে সাহায্য করবে। যদি কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে বলবেন। আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।



2/Post a Comment/Comments

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন